ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা ২০২৪ (বিস্তারিত দেখুন)

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রেলপথ হল ঢাকা থেকে রাজশাহী রুট। এই রুটটি দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে। রেল ভ্রমণ বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আরামদায়ক একটি মাধ্যম। বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে রেল যাত্রা সময়, খরচ ও আরামের দিক থেকে অত্যন্ত উপকারী।  

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচি

২০২৪ সালে ঢাকা টু রাজশাহী রুটের ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা আগের বছরে তুলনায় কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। যাত্রীদের সঠিক এবং বিস্তারিত তথ্য প্রদান করার জন্য এই সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা থেকে রাজশাহী রুট এর ট্রেন চলাচল নিয়ে এই প্রতিবেদনটি যাত্রীদের জন্য একটি সম্পূর্ণ গাইড হিসেবে কাজ করবে। যাতে তারা যাত্রার আগে এবং যাত্রার সময় কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হন।

পোস্টের সূচিপত্র

ঢাকা টু রাজশাহী রুটে ট্রেনের নাম সমূহ 

বাংলাদেশের রেলপথ নেটওয়ার্ক দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটটি শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং পর্যটকদের জন্য অন্যতম প্রধান রেলপথ হিসেবে বিবেচিত। রাজশাহী যা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা, প্রশাসনিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তার সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ক্ষেত্রে রেলপথের গুরুত্ব অপরিসীম। রেলপথে যাত্রা করার সময় যাত্রীরা আরামদায়ক ও ঝামেলা মুক্ত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। ২০২৪ সালের জন্য নতুন ট্রেনের সময়সূচি এবং ভাড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, যা যাত্রীদের যাত্রা পরিকল্পনা সহায়ক হবে।

এই সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা জানার মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারবেন, যেমন টিকিট বুকিং, ট্রেনের সময় মত স্টেশনে পৌঁছানো এবং যাত্রার সময় সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া। এছাড়াও যাত্রার আগে সঠিক সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকার জানা যাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ট্রেনের সময়সূচী পরবর্তীতে হতে পারে এবং ভাড়া নিয়মিত সমন্বয় করা হয়। আপনারা যারা ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ট্রেনের মাধ্যমে আসতে যাচ্ছেন তাদের জন্য এই প্রতিবেদনটি। এটি আপনাদের যাত্রা পরিকল্পনা সহজ ও স্বস্তিদায়ক করতে সহায়ক হবে। 
 
ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচি
ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে বিভিন্ন ধরনের ট্রেন চলাচল করে যা যাত্রীদের ভিন্ন সময়ে এবং আরামের সাথে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে।  ২০২৪ সালে ঢাকা টু রাজশাহী রুটে মোট ৪টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে থাকে। ট্রেনগুলোর নাম নিম্নরূপ: 
  1. ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) 
  2. বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১) 
  3. পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯) 
  4. সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩)
উপরোক্ত ট্রেনগুলো রাজশাহী পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাত্রীদের আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রা প্রদান করে। জাতিদের সুবিচার জন্য ট্রেনগুলোতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আসন ব্যবস্থা এবং পরিষেবা প্রদান করা হয় যা যাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী 

ঢাকা টু রাজশাহী রুট এর দূরত্ব হলো প্রায় ৩৪৫ কিলোমিটার। আর এই দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছাতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা। ঢাকা টু রাজশাহী রুটে ২০২৪ সালে চলাচলকৃত ৪টি ট্রেন  ১. ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ২. বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১) ৩. পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯) ও ৪. সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩) সময়সূচী নিচে উল্লেখ করা হলো: 
১. ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯)
  • ঢাকা থেকে ছাড়ে: সকাল ৬ টায়।
  • রাজশাহী পৌঁছায়: সকাল ১১:৪০ মিনিটে। 
  • সাপ্তাহিক বন্ধ: শনিবার। 
২. বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১)
  • ঢাকা থেকে ছাড়ে: দুপুর ১:৩০ মিনিটে। 
  • রাজশাহী পৌঁছায়: সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিটে। 
  • সাপ্তাহিক বন্ধ: শুক্রবার 
৩.পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯)
  • ঢাকা থেকে ছাড়ে: রাত ১১ঃ০০ টায়।
  • রাজশাহী পৌঁছায়: ভোর ৪:৩০ মিনিটে। 
  • সাপ্তাহিক বন্ধ: মঙ্গলবার। 
৪.সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩) 
  • ঢাকা থেকে ছাড়ে: দুপুর ২:৪৫ মিনিটে।
  • রাজশাহী পৌঁছায়: রাত ৮:৩০ মিনিটে।
  • সাপ্তাহিক বন্ধ: রবিবার 
এই ট্রেনগুলো যাত্রীদের বিভিন্ন সময় এবং চাহিদার ভিত্তিতে সেবা প্রদান করে থাকে। প্রতিটি ট্রেনের নির্ধারিত টাইমিং অনুসরণ করে যাত্রীরা তাদের সুবিধামতো ট্রেন নির্বাচন করতে পারবেন। এছাড়াও যাত্রা সময়সূচি এবং স্টপেজ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের ভবনকে সহজ করতে পারবেন।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের ক্যাটাগরি ও পরিষেবা

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কোচ এবং বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করা হয়। যা যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করে। এই পরিষেবা গুলো যাত্রীদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে সহায়ক হয়। নিচে বিভিন্ন ক্যাটাগরি ও তাদের প্রদানকৃত পরিষেবা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে: 

১.শোভন চেয়ার 
  • বর্ণনা: শোভন চেয়ার হল ট্রেনের সাধারণ আচরণের একটি ক্যাটাগরি, যেখানে বসার জন্য চেয়ার আকৃতির আসন রয়েছে। 
  • পরিষেবা: এই কোচে সাধারণত ফ্যান ও আলো থাকে। আসন গুলো বেশ আরামদায়ক হলেও সীমিত সুবিধা পাওয়া যায়।
২. শোভন (নন এসি)
  • বর্ণনা: শোভন নন এসি কোচ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়, তবে আসনগুলো শোভন চেয়ারের তুলনায় কিছুটা উন্নত। 
  • পরিষেবা: বড় জানালা, সহজে সামঞ্জস্য যোগ্য আসন এবং একাধিক বসার স্থানসহ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা। 
৩.স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার)
  • বর্ণনা: স্নিগ্ধা ক্যাটাগরি হল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ যা আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।
  • পরিষেবা: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, উন্নত আসন, কম্পার্টমেন্টের প্রতিটি আসনের লাইট ও ভেন্টিলেশন সিস্টেম।
৪. এসি সেলুন 
  • বর্ণনা: এই ক্যাটাগরি প্রিমিয়ার মানের পরিষেবা প্রদান করে। এটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং উচ্চমানের আসন রয়েছে।
  • পরিষেবা: আরামদায়ক আসন, ব্যক্তিগত লাইটিং, অধিক দাঁড়ানোর স্থান এবং উচ্চমানের পরিষেবা যা প্রায় বিমান ভ্রমণের সমতুল্য।
৫.এসি কেবিন
  • বর্ণনা: এসি কেবিন ক্যাটাগরি হল সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কেবিন, যা যাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ আরাম এবং ব্যক্তিগততা প্রদান করে।
  • পরিষেবা: ব্যক্তিগত বিছানা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা এবং খাবার সরবরাহের সুবিধা।
৬.স্লিপার
  • বর্ণনা: স্লিপার কোচ হলো রেলগাড়ির রাত্রিকালীন ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। এখানে যাত্রীরা শুয়ে বিশ্রাম নিতে পারে। 
  • পরিষেবা: প্রশস্ত এবং আরামদায়ক শয্যা,  পর্যাপ্ত বিছানার স্থান এবং ব্যক্তিগত লাইট ও ফ্যান।
৭.পাওয়ার কার ও ডাইনিং সার্ভিস 
  • বর্ণনা: বেশিরভাগ আন্তঃনগর ট্রেনে পাওয়ার কার থাকে যা যাত্রীদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কিছু ট্রেনের ড্রাইনিং কারও থাকে।
  • পরিষেবা: মোবাইল চার্জিং সুবিধা, খাবার ও পানীয় সরবরাহ এবং ট্রেনের ভিতরের বিভিন্ন ধরনের স্নাক্সস এর ব্যবস্থা।
এই ক্যাটাগরি এবং পরিষেবা গুলো যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আরামদায়ক করে তোলে। যাত্রীরা তাদের প্রয়োজন এবং পছন্দ অনুযায়ী এসব ক্যাটাগরির মধ্যে থেকে বেছে নিতে পারেন।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ২০২৪

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে ট্রেনগুলোর জন্য ভাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে। ২০২৪ সালের জন্য ট্রেনের ভাড়ার তালিকা নিম্নরূপ: 
১.শোভন চেয়ার 
  • ভাড়া: ৩৪৫ টাকা। 
  • আসন বর্ণনা: সাধারণ আসন, সীমিত সুবিধা। 
২. শোভন (নন এসি) 
  • ভাড়া: ৪১০ টাকা। 
  • আসন বর্ণনা: শোভন চেয়ার এর উন্নত সংস্করণ। 
৩.এসি স্নিগ্ধ 
  • ভাড়া: ৫৭০ টাকা।
  • আসন বর্ণনা: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ, আরামদায়ক আসন এবং উন্নত পরিষেবা।
৪. এসি সেলুন
  • ভাড়া: ৬৮০ টাকা। 
  • আসন বর্ণনা: প্রিমিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ, ব্যক্তিগত লাইটিং এবং আরো আরামদায়ক আসন।
৫.এসি কেবিন
  • ভাড়া: ১০২০ টাকা। 
  • আসন বর্ণনা: ব্যক্তিগত কেবিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা এবং উচ্চমানের পরিষেবা।
৬.স্লিপার
  • ভাড়া: প্রায় ৪৮০ টাকা। 
  • আসন বর্ণনা: রাত্রিকালীন ভ্রমণের জন্য শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সুবিধা।
৭.ডাইনিং কার ( যদি প্রয়োজন হয়) 
  • ভাড়া: ডাইনিং কারের জন্য অতিরিক্ত খরচ প্রযোজ্য হতে পারে যা খাবার ও পানীয়ের উপর নির্ভর করে।
এই ভাড়ার তথ্য বিভিন্ন ট্রেনের জন্য হালনাগাদ এবং পরিবর্তনশীল হতে পারে। বিশেষ ছাড় বা সাপ্তাহিক বন্ধের সময়ে ভাড়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তাই যাত্রার আগে সঠিক ভাড়া নিশ্চিত করার জন্য ট্রেনের টিকিট বুকিং সাইট বা রেলওয়ে স্টেশন যাচাই করা ভালো।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের টিকিট বুকিং পদ্ধতি 

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের ট্রেনের টিকিট বুকিং করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এ পদ্ধতি গুলো যাত্রীদের সহজে ও দ্রুতভাবে টিকিট সংগ্রহের সহায়ক ভূমিকা রাখে। নিচের বিভিন্ন বুকিং পদ্ধতির বিবরণ দেয়া হলো:-

১.অনলাইন বুকিং
  • ওয়েবসাইট: বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.railway.gov.bd) বা অন্যান্য অনুমোদিত অনলাইন বুকিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করে। 
  • মোবাইল অ্যাপ: বাংলাদেশের রেলওয়ে বা বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (যেমন BRTC, Train Ticket) ব্যবহার করে। 
পদ্ধতি: 
  1. অনলাইন প্লাটফর্মে লগইন করুন বা নিবন্ধন করুন। 
  2. আপনার যাত্রার বিস্তারিত তথ্য যেমন স্টেশন,তারিখ, সময় ও ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন।
  3. উপলভ্য টিকিটের তালিকা থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী টিকিট নির্বাচন করুন। 
  4. পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন (ডেভিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে)
  5. ই টিকিট বা পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করুন বা প্রিন্ট করুন।
২.স্টেশন বুকিং 
  • স্টেশন কাউন্টার: ঢাকা ও রাজশাহী স্টেশনসহ অন্যান্য প্রধান স্টেশন গুলোতে টিকিট কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়। 
পদ্ধতি: 
  1. স্টেশনে উপস্থিত হয়ে টিকিট কাউন্টারে যান। 
  2. আপনার যাত্রার জন্য তথ্য প্রদান করুন এবং উপলভ্য টিকিটের জন্য আবেদন করুন।
  3. টাকা প্রদান করে টিকিট সংগ্রহ করুন। 
  4. টিকিটের সমস্ত তথ্য যাচাই করুন এবং টিকিট সংরক্ষণ করুন।
৩.মোবাইল ফোন ও এসএমএস বুকিং 
  • এসএমএস বুকিং: কিছু ক্ষেত্রে এসএমএস এর মাধ্যমে বুকিং করার ব্যবস্থা থাকতে পারে। 
পদ্ধতি: 
  1. নির্ধারিত নম্বরে একটি নির্দিষ্ট ফরমেটে এসএমএস পাঠান। 
  2. এসএমএসর মাধ্যমে বুকিং কনফার্মেশন এবং পেমেন্ট স্লিপ প্রাপ্তির পর টিকেট সংগ্রহ করুন।
৪.ট্রাভেল এজেন্ট 
  • অফলাইন এজেন্ট: স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্ট এর মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা যায়।  

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা প্রক্রিয়া ২০২৪ 

পদ্ধতি: 
  1. স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করুন। 
  2. যাত্রা তথ্য প্রদান করুন এবং বুকিং এর জন্য আবেদন করুন 
  3. এজেন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন এবং টিকিট সংগ্রহ করুন। 
৫.টিকিট রিফান্ড ও পরিবর্তন 
  • অনলাইন রিফান্ড: অনলাইন বুকিং পোর্টাল থেকে টিকিট রিফান্ড এর জন্য আবেদন করা যায়।
  • স্টেশন কাউন্টার: স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট পরিবর্তন বা রিফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
পদ্ধতি: 
  1. রিফান্ডের আবেদন করার সময় টিকিটের আসল কপি বা রশিদ প্রয়োজন হতে পারে। 
  2. নির্ধারিত ফি প্রদান করে রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে যাত্রীরা তাদের জন্য সুবিধাজনক সময়ে এবং সহজে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে পারবে।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের স্টেশন এবং স্টপেজ 

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের ট্রেনগুলো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও স্টপেজে থেমে থাকে, যা যাত্রীদের সুবিধা প্রদান করে। এই স্টপেজ গুলো ট্রেনের সময়সূচী এবং যাত্রার অভিজ্ঞতার প্রভাব ফেলে। নিচে ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের প্রধান স্টেশন এবং স্টপেজ গুলোর তালিকা দেয়া হয়েছে: 
১.ঢাকা স্টেশন 
  • স্টেশনের নাম: কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বর্ণনা: ঢাকা শহরের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন, যেখানে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়।
২.টাঙ্গাইল
  • স্টেশনের নাম: টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বর্ণনা: ঢাকা-রাজশাহীর মাঝামাঝি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ।
৩.ঘাটাইল
  • স্টেশনের নাম: ঘাটাইল রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বর্ণনা: ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে একটি ছোট স্টপেজ।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচি

৪. সিরাজগঞ্জ 
  • স্টেশনের নাম: সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বর্ণনা: একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ যা সিরাজগঞ্জ শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। 
৫.পাবনা
  • স্টেশনের নাম: পাবনা রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বর্ণনা: পাবনা শহরের কাছাকাছি অবস্থিত একটি স্টপেজ। 
৬. কুষ্টিয়া 
  • স্টেশনের নাম: কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বর্ণনা: কিছু ট্রেন এখানে থেমে থাকে, তবে এটি প্রধান স্টপেজ নয়। 
৭‌.আব্দুলপুর
  • স্টেশনের নাম: আব্দুলপুর জংশন। 
  • বর্ণনা: রাজশাহী ঢোকার আগে আব্দুলপুর স্টেশনে কিছু সময়ের জন্য ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। 
৮.রাজশাহী
  • স্টেশনের নাম: রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বর্ণনা: রাজশাহী শহরের প্রধান স্টেশন যেখানে ট্রেন শেষ হয়। এটি ট্রেনের গন্তব্য স্থল। 

আরো পড়ুনঃ ইতালি ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে

স্টপেজের গুরুত্ব 
  1. মূল স্টেশন: ঢাকা ও রাজশাহী স্টেশনগুলো প্রধান ষ্টেশন হিসেবে কাজ করে, যেখানে ট্রেনের যাত্রা শুরু ও শেষ হয়।
  2. মাঝপথের স্টপেজ: টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা প্রভৃতি স্টপেজে ট্রেন থেমে থাকে যা যাত্রীদের সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্টপেজের এর মাধ্যমে স্থানীয় যাত্রীরা ট্রেনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন এবং দীর্ঘযাত্রার সময় কিছুটা বিরতি পান।
স্টপেজ সম্পর্কিত তথ্য 
  1. স্টপেজের সময়: প্রতিটি স্টপেজে ট্রেনের থামার সময় পরিবর্তিত হতে পারে। যা ট্রেনের টাইমিং এবং ট্রেনের গতি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। 
  2. স্টেশন সুবিধা: বড় স্টেশন গুলোতে সাধারণত যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা যেমন খাবার, পানীয়, টয়লেট ইত্যাদি পাওয়া যায়। 
এছাড়াও ঢাকা থেকে রাজশাহী আসার সময় অনেক প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া বা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ট্রেন যে কোন স্টেশনে স্টপেজ নিতে পারে। স্টপেজের সময়সূচি এবং স্থানীয় ট্রেনের স্টপেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ট্রেনের সময়সূচী যাচাই করা উচিত, যা স্টেশন বা অনলাইন প্লাটফর্মে পাওয়া যায়

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনযাত্রার সময়কাল ও দূরত্ব 

ঢাকা থেকে রাজশাহী রোডে ট্রেন যাত্রার সময়কাল এবং দূরত্ব যাত্রীদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই রুটের ট্রেনের গতি এবং স্টপেজ এর উপর নির্ভর করে যাত্রা সময় কাল পরিবর্তিত হতে পারে। নিচে ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেন যাত্রার সময়কাল ও দূরত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে: 

মোট দূরত্ব ৩৪৫ কিলোমিটার (২১৩ মাইল) 

যাত্রা সময় কাল 
  1. পদ্মা এক্সপ্রেস: প্রায় ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
  2. সিল্কসিটি এক্সপ্রেস: প্রায় ৫ ঘন্টা ৫৫ মিনিট। 
  3. বনলতা এক্সপ্রেস: প্রায় ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
  4. ধুমকেতু এক্সপ্রেস: প্রায় ৫ ঘন্টা ৫৫ মিনিট। 
বিবরণ 
  • যাত্রা সময়কাল: উপরের সময়কাল ট্রেনের গতি স্টপেজের সংখ্যা এবং ট্রেনের সময়সূচির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত দীর্ঘতম সময়কাল হতে পারে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত।
  • দূরত্ব: ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত মোট দূরত্ব প্রায় ৩৪৫ কিলোমিটার যা ট্রেনের গতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পার করা হয়।
স্টপেজের প্রভাব 
  • স্টপেজ সংখ্যা:‌ যাত্রার সময়কাল স্টপেজের সংখ্যা ও প্রতিটি স্টপেজের ট্রেন থামার সময়ের উপর নির্ভর করে। কিছু ট্রেন কম স্টপেজ নিয়ে চলাচল করে, যার দ্রুত পৌঁছানোর সুবিধা প্রদান করে।
  • ট্রেনের প্রকার: বিভিন্ন ট্রেনের প্রকারভেদ (যেমন এক্সপ্রেস, স্লিপার) ভ্রমণের সময়কাল নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্সপ্রেস ট্রেন সাধারণত দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং কম স্টপেজ সহ চলাচল করে। 
যাত্রার সময়কাল ও দূরত্বের এই তথ্য যাত্রীদের পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। যাতে তারা সময় মতো স্টেশনে পৌঁছাতে এবং তাদের ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের যাত্রীদের জন্য পরামর্শ 

ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ রয়েছে, যা তাদের যাত্রা কে আরো সহজ স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে সহায়ক হতে পারে।
  1. ভ্রমণের তারিখের কাছাকাছি সময়ের টিকিট বুকিং করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ছুটির দিন বা উৎসবের সময়ে। 
  2. অনলাইন টিকিট বুকিং এর মাধ্যমে ই টিকিট সংগ্রহ করুন যা আপনাকে লাইনে দাঁড়ানো থেকে বাঁচাবে এবং দ্রুত চেকিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে।
  3. ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশনে কিছু সময় আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন যাতে ট্রেন ধরতে কোন ধরনের দেরি না হয়। 
  4. স্টেশনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং আপনার প্লাটফর্ম সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
  5. যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন টিকিট, টাকা, খাবার ও পানীয় ইত্যাদি সঙ্গে নিন।
  6. ছোটখাটো বস্তা বা ব্যাগের মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখুন যা আপনার কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য হবে। 
  7. আপনার ব্যাগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সতর্কভাবে রাখুন। 
  8. ট্রেনের সময় হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন এবং ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনার নির্বাচিত আসন সুবিধাজনক কিনা তা যাচাই করুন এবং ট্রেনে উঠার সময় সঠিক আসনে বসুন। 
  9. যদি স্লিপার বা কেবিনে যাত্রা করেন তবে, বিছানার সুবিধা নিতে ভুলবেন না।
  10. ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্থানের সময় সতর্ক থাকুন এবং যাত্রা সময় পরিবর্তন হলে তা নজরে রাখুন। যেকোনো সমস্যা বা সাহায্যের প্রয়োজন হলে ট্রেনের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন। 
এ পরামর্শ গুলো অনুসরণ করলে আপনার ট্রেন যাত্রা আরো সুগম, নিরাপদ এবং আরামদায়ক হবে।

লেখক এর মন্তব্য  

ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের যাত্রা একটি সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক বিকল্প। যা বিভিন্ন ট্রেনের সময়সূচী,। ক্যাটাগরি এবং ভাড়ার মাধ্যমে যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। ২০২৪ সালের সময়সূচি অনুযায়ী বিভিন্ন ট্রেনের সূচি ও ক্যাটাগরি আপনাকে আপনার পছন্দ ও সময়ের সাথে মানানসই ট্রেন নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।

যাত্রীদের জন্য কিছু সাধারণ পরামর্শ অনুসরণ করলে যাত্রা আরো স্বাচ্ছন্দ্যকর হতে পারে। ট্রেনের সময়সূচি, ভাড়া এবং বুকিং পদ্ধতির জ্ঞান আপনাকে একটি সুশৃংখল ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত প্রদান করবে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টপ ট্রিক্সস্‌ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;

comment url