ত্বকের ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
ত্বকের ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অনেক।ত্বকের ব্রণ
দূর করার জন্য প্রাকৃতিক উপায় এর বিকল্প নেই। আপনি চাইলে ঘরে বসে নিতে
পারেন ত্বকের যত্ন। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমরদের
যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় তেমনি ত্বকের
ব্রণ সহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার
শ্রেয়।
প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের মধ্যে অন্যতম ভেষজ উপাদান হলো কাঁচা
হলুদ। এটি ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চলুন ত্বকের
ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
যাক ঃ
পোষ্টের সূচিপত্র
- ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
- ত্বকের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
- কাঁচা হলুদ ত্বককে রোদ ও সংক্রামক রোগ থেকে দূরে রাখে
- ত্বকের এলার্জি নিরাময়ে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
- ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
- ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করতে হলুদের ব্যবহার করবেন যেভাবে
- ত্বকের জন্য শুধুমাত্র কাঁচা হলুদ বাটায় সাবধানতা অবলম্বন করুন
- শেষ কথা
ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
ত্বকের ব্রণ দূর করতে হলুদের মত এমন কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান খুব কমই আছে।
ব্রণের ইনফেকশন কমানোর শুরু করে ব্রনের দাগ দূর করা পর্যন্ত অনেক রকম
কার্যকরী ব্যবহার আছে কাঁচা হলুদের। যাদের প্রচুর পরিমাণে ব্রণ উঠে তাদের
জন্য কাঁচা হল যাদের মত কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে হলুদের থাকা
অনেক উপাদান ত্বকের দাগ দূর করতে দারুন কার্যকরী।
কাঁচা হলুদ বাটা রস নিন। এবং এর সাথে মুলতানি মাটি ও নিম পাতার রস একসঙ্গে
মিশিয়ে পেস্ট করে ফেসপ্যাক এর মত মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপ জল
দিয়ে আলতো হাতে মেসেজ করে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে
ফেলুন। এটি িত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকে ব্রনের পরিমাণ
কমবে।
ত্বকের ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাঁচা হলুদ বাটার সাথে
আঙ্গুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন এবং কিছু সময় পর
সেটি ধুয়ে ফেলুন। কিছু সময় পর দেখবেন আপনার মুখের ব্রণ মিলিয়ে গেছে এবং
এতে কোন প্রকার ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ত্বকের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
প্রাচীনকাল থেকে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচা
হলুদ বাটা প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
আসছে । কাঁচা হলুদের রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল
উপাদান যা চোখে নিজের কালো দাগ দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বেশ
কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে কাঁচা দুধের সঙ্গে সামান্য একটু হলুদ মিশিয়ে
মিশ্রণটি চোখের নিচে লাগাতে পারেন। এর সাথে গোলাপজল মিশিয়েও তুলে দিয়ে
চোখের নিচে ম্যাসাজ। করতে পারেন চোখের আশেপাশে আলতো করে ম্যাসাজ করলে ওই স্থানে
রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। তাছাড়া চোখের নিচের কালো দাগ দূর
করার সহজ একটি উপায় হলো একটি নরম কাপড়ে ঠান্ডা পানি নিয়ে সে
কাপড়টির জলপট্টির মতো চোখের উপরে নিচে দশ পনেরো মিনিট ম্যাসাজ করতে
হবে।
এভাবে হলুদ বাটার সাথে কাঁচা দুধ, মধু , গোলাপজল মিশন
করে ত্বকে লাগালে সহজে ত্বকের চোখের নিচের দূর করা
যায়।
কাঁচা হলুদ ত্বককে রোদ ও সংক্রামক রোগ থেকে দূরে রাখে
কাঁচা হলুদের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান
থাকে। যা ত্বককে রোদ ও সংক্রামক রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা
করে। রোদে পোড়া ত্বকের জন্য কাঁচা হলুদ অনেক উপকারী। ত্বকের ধরন অনুযায়ী
হলুদ এর ব্যবহার একটি ভিন্নভাবে করতে হয়। তাছাড়া হলুদের
তৈরি সাবান যা প্রসাধনী হিসেবে বেশ কার্যকরী।
মানুষের ত্বক সাধারণত শুষ্ক , তৈলাক্ত এবং মিশ্র হয়ে থাকে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য হলুদের রস ব্যবহার করা উচিত। প্রথমে হলুদ বেটে রস
নিয়ে সেই রস দুই থেকে তিন মিনিট জুলাই ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে ডিমের
কুসুম ও বেসন মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে
রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।
আরো পড়ূন ঃ মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ হওয়ার ৫টি সহজ উপায়
তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রেও একইভাবে হলুদের রস ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর
মুলতানি মাটি নিয়ে হলুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে তার সঙ্গে এক চামচ
পুদিনা পাতা ও এক চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে হাতে ও মুখে লাগিয়ে .১০-১৫ রেখে
ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে রোদে পোড়া তৈলাক্ত ত্বক দূর হবে।
মিশ্র ত্বকে যতটা একটু ভালোভাবে নেয়ার প্রয়োজন হয়। কেননা এ ধরনের ত্বক একটু
বেশি স্পর্শকাতর হয়। এজন্য আগের মত হলুদের রস নিয়ে তার মধ্যে সবুজ মুগডাল
ভিজিয়ে রাখতে হবে । পেস্ট করে তুলসী পাতার রস ও কেওলিন পাউডার
মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর
হবে এবং ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলবে।
ত্বকের এলার্জি নিরাময়ে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
ত্বকের রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এলার্জি। অনেক মানুষের মধ্যে এই এলার্জির
লক্ষণ দেখা যায়। যদিও এই এলার্জার সঠিক চিকিৎসা আজও সম্পূর্ণভাবে জানা
যায়নি। কিন্তু এলার্জির জন্য কাঁচা হলুদ অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন
করে। এলার্জির ক্ষেত্রে দুধ , এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে
পারে। এক কাপ দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো একটু গরম করে নিতে হবে। এরপর
ঠান্ডা হয়ে গেলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি পান করলে এলার্জি সমস্যার
সমাধান হয়ে দ্রুত যায়।
তাছাড়া আপনার যদি অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সকাল বিকাল ২
বেলা খালি পেটে এক গ্লাস পানির মধ্যে হাফ চা চামচ কাঁচা হলুদ রস বা কাঁচা হলুদ
বাটা মিশিয়ে পান করে দেখবেন এলার্জি থেকে অনেকটাই ভালো থাকবেন। তাছাড়া হাফ
চা চামচ মধু কাঁচা হলুদ গিটার চায়ের সাথে মিশন করে দিনে দুইবার পান করে দেখবেন
এলার্জি থেকে অনেকটাই ভালো থাকতে পারছেন।
এছাড়া এক টুকরো হলুদ পেতে তার সাথে হাফ কাপ মধু এক চা চামচ লেবুর রস এবং দুই
টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে বায়ুরোধি পাত্রে সেটাকে সংরক্ষণ
করে রাখুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ করে এটি খেলে দেখবেন এলার্জি
অনেকটাই কমে গেছে।
ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে কাঁচা হলুদের উপকারিতা
ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে কাঁচা হলুদের
ভূমিকা অপরিসীম। কাঁচা হলুদ মসলা জাতীয় পণ্য হলেও প্রাচীনকাল থেকে এটি
ব্যবহার হয়ে আসছে রূপচর্চায়। গায়ের রং উজ্জ্বল হওয়া থেকে শুরু করে ত্বকের
ব্রণ, এলার্জি পুরো দূর করতে পারবেন এই কাঁচা হলুদ ব্যবহারের
মাধ্যমে। কেননা হলুদ ত্বকের ভেতর ও উপরিভাগ উভয়ের জন্যই
ভালো। তবে শুধুমাত্র কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
কাঁচা হলুদের সাথে কিছু ব্যবহার করাই শ্রেয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদের সঙ্গে গাজরের রস , বেসন , জলপাই তেল , মিশিয়ে
ত্বকে লাগিয়ে কিছু সময়ের পর ধুয়ে ফেললে দেখবেন আপনার শরীরের ত্বক অনেকটা
উজ্জ্বল হয়ে গেছে। আপনি চাইলে এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন
কেননা লেবুর রসে আছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদ আছে ত্বক উজ্জ্বল করার
উপাদান। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে লেবুর রস
মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করবে।
এছাড়াও কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে আপনি মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে
পারেন। কেননা হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা রক্ষা করে ত্বকের
উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। এভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই উপকার
পাবেন।
ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করতে হলুদের ব্যবহার করবেন যেভাবে
কাঁচা হলুদ তার প্রাণবন্ত রং এবং শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যসহ শতাব্দী ধরে
ঐতিহাসিক ত্বকের যত্নে একটি প্রধান উপাদান হয়ে উঠেছে। কাঁচা হলুদের এই
নম্র মূলটি আপনার ত্বকের জন্য প্রচুর উপকারী। ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই
করা থেকে শুরু করে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এমনকি ত্বকের কালো দাগ দূর করে এই
কাঁচা হলুদ। কিন্তু শুধু মাত্র কাঁচা হলুদ বাটা ব্যবহার করা ত্বকের জন্য
মোটেও উচিত নয়। চুরুর কাঁচা হলুদের সাথে যেসব প্রাকৃতিক উপাদান
মিশেয়ে ত্বকের ব্রণ দূর করবেন তা আলোচনা করি ঃ
হলুদ বাটার ও মধুর মিশ্রণ
এক চা চামচ হলুদ বাটা ও আধা চামচ মধু এক সাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে
হবে। এই পেস্ট পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে .১০-১৫ মিনিট রেখে দিতে
হবে। এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ত্বকের যত্নে ভালো
ফলাফল পেতে হলে একদিন অন্তর অন্তর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে
হবে। তাহলে ত্বক থেকে ব্রণ ও ব্রণেরর দাগ নিমিষে মুছে যাবে।
হলুদ বাটা ও কাঁচা দুধের মিশ্রণ
হলুদ ও দুধের মিশ্রণ ত্বকের ক্ষতি করে এমন উপাদানের বিরুদ্ধে কাজ করে
এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদের গুঁড়ো না হয়ে হলুদ বাটা
মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে
নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ত্বকের ব্রণের সমস্যার সমাধানও
হয়ে যায়।
কাঁচা হলুদ ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ
কাঁচা হলুদ ও নারিকেল তেলে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান। আর
নারিকেল তেল খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নারিকেল
তেলের সঙ্গে হলুদের গুড়া অথবা হলুদ বাটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই
প্রাকৃতিক উপাদানটি ত্বকের লালচে ভাব , সংক্রমণ , শুষ্কতা দূর করতে সহায়তা
করে।
কাঁচা হলুদ বাটা ও অ্যালোভের মিশ্রণ
অ্যালোভেরা ত্বক সতেজ ও স্নিগ্ধ রাখে। ত্বক ব্রণের দাগ দূর করতে
অ্যালোভেরা একটি কার্যকরী উপাদান। দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেলের সঙ্গে
আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে পেস্ট তৈরি করে
প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। ত্বকের যেখানে ব্রণ আছে সেখানে এই প্যাকটি
লাগিয়ে রাখুন .১০ থেকে ১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই
প্যাকটি রেগুলার ব্যবহার করলে ত্বক থেকে ব্রনের দাগ দ্রুত দূর হবে এবং উজ্জ্বল
হবে।
কাঁচা হলুদ ও বেসনের মিশ্রণ
বেসন এক্সফোলিয়েট করতে এবং মরা চামড়া দূর করতে কাজ করে। ত্বকের কালো
দাগ দূর করে ত্বক সুন্দর রাখতেও বেসনের গুরুত্ব কম নয়। ব্রণের দাগ দূর করতে
এক চা চামচ হলুদ বাটার রসের সঙ্গে দুই চামচ বেসন ও তিন চামচ গোলাপ জল
অথবা দই মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি
দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক
উজ্জল হবে এবং ব্রণের দাগ দূর হবে।
কাঁচা হলুদ গুড়া ও লেবুর রসের মিশ্রণ
লেবুর রসে আছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদে আছে ত্বক উজ্জ্বল করার
উপাদান। হলুদের গুড়া ও লেবুর রস দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে
লাগিয়ে রেখে ১০-১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ব্রণের সমস্যার সমাধান হয়।
টক দই ও হলুদের মিশ্রণ
টক দই ও হলুদের মিশ্রণ তৈরি করার জন্য দুই চামচ টক দইয়ের সাথে আধা চামচ হলুদের
গুড়া মিশিয়ে নিতে হবে। পরে মিশ্রণটি পুরো মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিয়ে
ম্যাসাজ করতে হবে। এবং .১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য।
ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়
কাঁচা হলুদ ও আঙ্গুরের মিশ্রণ
২ চামচ আঙ্গুরের রসের সঙ্গে আধা চামচ হলুদের গুঁড়ো ও লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক
তৈরি করতে 20 থেকে ২৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ভালো করে করে মুখে
লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে
হবে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলেও মুখের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
কাঁচা হলুদের রস ও নিম পাতা রসের মিশ্রণ
নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। নিম পাতা রস
ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকরী ক্ষমতা রাখে। ব্রণ দূর করতে নিম
পাতা ও কাঁচা হলুদ প্রথম ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লিন্ড করে নিন। নিম
পাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ অথবা কাঁচা হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে এই প্যাকটি
মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে
ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন চারদিন এই প্যাকটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের
যাবতীয় ব্রণ নিমিষেই দূর হয়ে যায়।
কাঁচা হলুদ ও বেকিং সোডার মিশ্রণ
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক হয়ে যায়। ত্বকে অনেক মৃত কোষ জমতে
থাকে। আর এই মৃত কোষগুলো থেকেই ত্বকে ব্রণ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি
হয়। ঘরে বসে ত্বক সতেজ রাখতে বেকিং সোডার প্যাক বানাতে পারেন। বেকিং সোডা
ত্বকের ব্রণ সারাতে দ্রুত কাজ করে। আধা চামচ কাঁচা হলুদের সঙ্গে এক চিমটি
বেকিং সোডা ও পরিমান মত পানি নিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট
অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি অথবা গরম কুসুম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ
ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতটি সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করবেন ন।
ত্বকের জন্য শুধুমাত্র কাঁচা হলুদ বাটায় সাবধানতা অবলম্বন করুন
কাঁচা হলুদ সাধারণত ত্বকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ক্ষেত্রে এটি ত্বকের জন্য
ক্ষতিকরও হতে পারে।যেমন কিছু মানুষের ত্বক কাঁচা হলুদের প্রতি সমবেদনশীল
হতে পারে। এতে ত্বকে লালচে ভাব চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। আবার কাঁচা হলুদ
ব্যবহারের পর ত্বকে হলুদ দাগ পরতে পারে যা সহজে যেতে চাই না। হলুদ থাকা
কিছু উপাদান ত্বককে শুষ্ক করতে পারে বিশেষ করে যদি আপনার ত্বক স্বাভাবিকভাবে
শুষ্ক হয়। ফলে এটি ত্বক কে আরো শুষ্ক ও খসখসে করে তুলবে।
কিছু ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ ব্যবহারের পর রোদে বেশি সংবেদনশীল হতে
পারে। এটি সূর্যের আলোতে ত্বকে জলন বা পোড়াবভাব সৃষ্টি করতে
পারে।হলুদ অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে
পারে ত্বকের অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে। কাঁচা হলুদ অন্যান্য
উপাদানের সাথে মিশ্রিত করে ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কিছু উপাদান
হলুদের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। বন্ধুদের সাথে মিশ্রিত উপাদান গুলোর বিষয়ে
সাবধানতা অবলম্বন করুন।
শেষ কথা
ত্বকের ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ একটি কার্যকরী উপাদান। কাঁচা হলুদের
এন্টিব্যাকটেরিয়াল অ্যাণ্টি ইনক্লেমেটরি ও অ্যাণ্টিঅক্সিডেন্ট গুনাবলি
ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে সহায়ক। ত্বকে হলুদের পেস্ট করে বা হলুদের রস
দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া
যেতে পারে। তবে যাদের ত্বক অতি সংবেদনশীল তারা আগে ত্বকের একটি
ছোট্ট অংশ পরীক্ষা করে নেয়া উচিত বলে মনে করি।
টপ ট্রিক্সস্ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;
comment url