সৌদি আরবের কাজের চাহিদা ও তার বেতন সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ সৌদি আরবে গমন কারি প্রবাসীই শ্রমিক ভিসায় যায়। সৌদি ভিশন ২০৩০ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশটি অর্থনৈতিক বৈচিত্র আনতে সচেষ্টা আগামীতে আরও বেশি কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি করবে। সৌদি আরবে কাজ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ হতে পারে। দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য এই খাতগুলোকে উচ্চ বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা ও প্রচুর। 

সৌদি আরবের কাজের চাহিদা ও তার বেতন সম্পর্কে জানুন

বর্তমানে বহু সংখ্যক কর্মী কাজের বিষয়ে সৌদি আরব যাচ্ছ। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই আছে যারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে কোন কাজে তারা সৌদি আরবে যাবে বা সেখানে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি। তাই আপনার দক্ষতার সাথে মিল রেখে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিন আজকের আলোচনায় ঃ

পোস্টের সূচিপত্র 

সৌদি আরবে কেনো কাজ করার জন্য যাবেন

পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকার জন্য কত ধরনের কাজ করে থাকে ।কোন কোন সময় দেখা যায় নিজ দেশের বাইরে গিয়ে ও জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সৌদি আরবের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য নতুন একটি দার উন্মোচন হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে দেশটি বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি সেক্টরে পেশাদার কর্মী নিবে। 

সৌদি সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশ্বে প্রবাসীদের সর্বাধিক বেতন দিয়ে থাকে এ দেশের সরকার। যদিও গত বছরের তুলনায় কর্মীদের বেতন তিনশতাংশ কমেছে তারপরও তারা বেতন প্রদানের দিক দিয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে । কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা অফার করে থাকে এই দেশের সরকার। তাদের ধরন অনুযায়ী কর্মীদের বেতন আলাদা হয়ে থাকে।

সৌদি আরবের হোটেল ভিসা বেতন সম্পর্কে জানুন

বর্তমানে সৌদি আরবে হোটেল ভিসার সর্বনিম্ন বেতন ১২০০ থেকে ১৩০০ রিয়াল । ৮ থেকে ৯ ঘন্টা তবে ওভারটাইম করারও সুযোগ আছে। সৌদি আরবে হোটেল ভিসা পেতে হলে আপনার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩০ এরমধ্যে। এই ভিসাধারীদের আকামা বাসস্থান মেডিকেল ও ইন্সুরেন্স খরচ সম্পূর্ণ কোম্পানি বহন করে থাকে ।এছাড়া কোম্পানি দুই বছর পর পর বাংলাদেশের আসা-যাওয়ার বিমানের টিকিট খরচ দিয়ে থাকে।

প্রত্যেক বছরের শুরুতে আরবের বিভিন্ন বড় বড় হোটেল থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনারা চাইলে তখন সরকারিভাবে অল্প খরচে সৌদি আরবের ভিসা করে নিতে পারবেন। তবে যারা সৌদি আবাসিক হোটেলে চাকরির জন্য যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই জানে না সৌদি আবাসিক হোটেলে বেতন কত এবং সৌদি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতে কি কি কাগজ লাগে তাই আজকের আলোচনায় সৌদি আবাসিক হোটেলে চাকরি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব।

বর্তমানে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছে যারা সৌদি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতে চাচ্ছে কিন্তু তাদের জানা নেই সৌদি আবাসিক হোটেলে চাকরি করার জন্য কি কি কাগজ লাগে তা জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকে কিন্তু সঠিক তথ্য পায় না এখন আমরা জানবো সৌদি আরবের চাকরির জন্য কি কি কাগজ লাগে। 

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট সাইজের কয়েকটি ছবি
  • সার্টিফিকেট মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট
  • ইংরেজি ভাষার বলার এবং বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে ইত্যাদি

সৌদি আরবে  ড্রাইভারের চাকরি এবং বেতন  সম্পর্কে জানুন

ইংরেজি বা আরবী ভাষার দক্ষতা যদি থাকে অন্তত মোটামুটি দক্ষতা যদি থাকে তাহলে যেতে পারেন।
তবে হ্যাঁ সৌদি আরব বর্তমানে ড্রাইভিং ভিসা একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। কারণ বর্তমানে সৌদি আরবে কাজের বাজারটা কিছুটা মন্দা যাচ্ছে। ফলে কোম্পানি ভিসায় চাকরি পাওয়ার খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ড্রাইভিং ভিসায় চাকরি পাওয়ার তুলনামূলক সহজ। কারণ সৌদি আরবে ড্রাইভারের চাহিদা রয়েছে।

তাছাড়া সৌদি আরবে অন্যান্য কাজে অনেক পরিশ্রম। এক্ষেত্রে ড্রাইভিং ভিসায় পরিশ্রম অনেক কম টাকা ভালোই পেতে পারেন। ড্রাইভিং ভিসার বেতন সাধারণত কোম্পানির ভিসার চেয়ে বেশি হয়। সাধারণত একজন ড্রাইভার মাসে এক হাজার থেকে এক হাজার পাঁচশত রিয়াল বেতন পায়।বাংলাদেশের মুদ্রার এই টাকার পরিমাণ ৩২-৪৮ হাজার টাকা। (মে ২০২৪ রেট অনুযায়ী )।

সৌদি আরবের কাজের চাহিদা ও তার বেতন সম্পর্কে জানুন

ড্রাইভিং ভিসায় চাকরি পেতে হলে সৌদি আরবের কোন কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে হয়। কোম্পানিটি আপনাকে ভিসা প্রসেসিং এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে। এখানে আমি কিছু টিপস দিয়ে দিলাম যাতে আপনি সৌদি আরবের ড্রাইভিং ভিসা পেতে পারেন-
  • ভালো একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করুন। চুক্তিপত্র ভালোভাবে করে নিন তারপরে সাইন করুন। 

 আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভালোভাবে প্রসেস করুন যেমন এসএসসি অথবা ইন্টার পাশের সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের সন্‌, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ড্রাইভিং এ ভালো দক্ষতা(শর্ত অনুযায়ী ন্যূনতম যত বছরের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা চাই) স্বাস্থ্য যোগ্যতার সার্টিফিকেট(ভালো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য) বয়স একুশের উপরে থাকতে হবে, পাসপোর্ট , ইত্যাদি।

  •  সৌদি আরবের সংস্কৃতি এবং আইন সম্পর্কে জানুন। কারণ ওখানে আইন মানে আইন অপরাধ করলে খবর আছে।

আর হ্যাঁ অবশ্যই দালাল থেকে সাবধান। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে ।

সৌদি আরবে তেল, গ্যাস এবং নির্মাণ শিল্পের কাজের চাহিদা সম্পর্কে জানুন 

সৌদি আরবের অর্থনীতি তেলের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এটি দেশটির জিডিবির একটি বড় অংশ। রপ্তানি আয়ের দিক দিয়ে আয়ের প্রধান ই উৎস খাত। তেলের দামের উঠানামা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই খাতে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিচালনা এবং টেকনিশিয়ান পদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় বেতন আছে। 


সৌদি আরবের নির্মাণ খাত দ্রুত বিকাশমান খাতগুলির মধ্যে একটি। সৌদি ভিশন ২০৩০ এর আওতায় মেগা প্রকল্প গুলি যেমন নিত্তম, রেড সি প্রজেক্ট এবং কিদ্দিয়া এন্টারটেইনমেন্ট সিটি নির্মিত হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে হাজার হাজার নির্মাণকর্মী , প্রকৌশলী, স্থপত্‌ এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মীর জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এই খাতে বিভিন্ন ধরনের কাজের বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে।

ইঞ্জিনিয়ারদের বেতনঃ
  • সিভিল, মেকানিক্যা্‌ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারঃ এই প্রেশার কর্মীর মাসে প্রায় আট হাজার থেকে ১৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।।
  • পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারঃ এই পেশার কর্মীরা মাসে ১০ হাজার থেকে ২০হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
টেকনিশিয়ানদের বেতনঃ
  • ফিল্ড টেকনিশিয়ানঃ এই পেশায় কর্মীরা মাসে প্রায় ৩হাজার থেকে ৭ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
  • রিগ টেকনিশিয়ানঃ এই পেশায় কর্মীরা মাসে প্রায় 5000 থেকে 8000 রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
ম্যানেজমেন্ট এবং পরিচালনাকারীদের বেতনঃ
  • প্রজেক্ট ম্যানেজারঃ এই পেশাই কর্মীরা মাসে প্রায় ১২হাজার থেকে ৪৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।।
  • অপারেশন ম্যানেজারঃ এই পেশায় কর্মীরা মাসে প্রায় ১০ হাজার থেকে ২০হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন কিন্তু টাইপ হয়ে যাচ্ছে।
নির্মাণ শিল্পে বেতন কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে থাকে। এই খাতেও মোটামুটি ভালো বেতনের সুযোগ রয়েছে।

প্রকৌশলীদের বেতনঃ
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারঃ এই পেশায় কর্মীরা মাসে প্রায় চার হাজার থেকে দশ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
  • স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারঃ এই পেশায় কর্মীরা মাসে প্রায় ৫০০০ থেকে ১২ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
সৌদি আরবের কাজের চাহিদা ও তার বেতন সম্পর্কে জানুন

স্থপতি এবং ডিজাইনারের বেতনঃ
  • আর্কিটেক্টঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতি মাসে ৫০০০ থেকে ১৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
  • ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের বেতনঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতি মাসে ৪০০০ থেকে ৮ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন
সাধারণ নির্মাণ কর্মীদের বেতনঃ
  • সাধারণ শ্রমিকঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
  • দক্ষ মিস্ত্রি(প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান কাঠমিস্ত্রি) ঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতি মাসে ১৫০০ থেকে ৩০০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে  পারেন।
ম্যানেজার এবং সুপারভাইজারদের বেতনঃ
  • সাইট সুপারভাইজারঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতি মাসে তিন হাজার থেকে সাত হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
  • প্রজেক্ট ম্যানেজারঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসের আট হাজার থেকে বিশ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।

সৌদি আরবে প্রশাসনিক কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের চাহিদা সম্পর্কে জানুন

সৌদি আরবের অর্থনীতি এবং সামাজিক অবকাঠামোর দূরত্ব উন্নয়নের ফলে প্রশাসনিক কর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সৌদি ভিশন ২০৩০ উদ্যোগ এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধি কারণে এই দুই খাতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

প্রশাসনিক কর্মীদের চাহিদা

প্রশাসনিক কাজের চাহিদা সৌদি আরবে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা অনেক বেশি। প্রশাসনিক কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম  সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  1.     অফিস ম্যানেজারঃ
  • কাজের দায়িত্বঃ অফিস পরিচালনা কর্মীদের তত্ত্বাবধান, প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান এবং অফিস নীতি প্রক্রিয়া উন্নয়ন করা।
  • চাহিদাঃ বড় বড়  কর্পোরেট হাউস, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারি দপ্তর গুলোতে অফিস ম্যানেজারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
      2.    অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টঃ
  • কাজের দায়িত্ব: ডকুমেন্টেশন, সময়সূচী তৈরি, মিটিং আয়োজন, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা।
  • চাহিদাঃ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোতে সহকারীদের চাহিদা অনেক বেশি। 

আরো পড়ুনঃ  ই-পাসপোর্ট কত মেয়াদে করা যায় এবং এর খরচ সমূহ 

          3.    রিসেপশনিস্ট: 
    • কাজের দায়িত্ব: কল গ্রহণ করা, ভিজিটরদের স্বাগতম জানানো এবং সামগ্রিক অফিস সহায়তা প্রদান করা।
    • চাহিদাঃ হোটেল, হাসপাতাল,কর্পোরেট অফিস এবং সরকারি দপ্তরগুলোতে রিসেপশনিস্টদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
    স্বাস্থ্যকর্মীদের চাহিদা

    সৌদি আরবের স্বাস্থ্যসেবা খাতের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং এর ফলে স্বাস্থ্য কর্মীদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। নতুন হাসপাতাল ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কারণে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    1. ডাক্তার
    • কাজের দায়িত্বঃ রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা প্রদান এবং রোগীদের সুস্থতা পর্যবেক্ষণ করা।
    • চাহিদাঃ বড় বড় হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে সার্জন ভিতর থেকে যদি কপি পেস্ট মেরে এখানে তো সমস্যা নাই তাই নাকার্ডিয়লজিস্টের চাহিদা বেশি।
          2.   নার্স
    • কাজের দায়িত্বঃ রোগীদের যত্ন নিয়া, চিকিৎসকদের সহায়তা করা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা।
    • চাহিদাঃ হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে নার্সদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে আইসিইউ, ইমারজেন্সিএবং অপারেশন থিয়েটারে এর চাহিদা অনেক বেশি।
    • ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজের দায়িত্বঃ বিভিন্ন চিকিৎসা পরীক্ষা নমুনা সংগ্রহ , বিশ্লেষণ করা এবং পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করা। হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে টেকনিশিয়ানদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।

    সৌদি আরবে স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনিক কর্মীদের বেতন

    সৌদি আরবের স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনিক কর্মীদের বেতন বেশ আকর্ষণীয়। এই বেতন কাঠামো দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। এখন আমরা স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনিক কর্মীদের বিভিন্ন পদের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো ।

    স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন
    1. ডাক্তারঃ
    • সাধারণ চিকিৎসকঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে বেতন প্রায় আট হাজার থেকে পনেরো হাজার রিয়াল পর্যন্ত পেতে পারেন।
    • বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ এই পেশায় কর্মীরা যেমন কার্ডিওলজিস্ট সার্জন প্রতি মাসে মোটামুটি ১৫ থেকে ৩০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বা তারও বেশি পেতে পারেন।
    • রেসিডেন্ট ডাক্তারঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে পাঁচ হাজার থেকে আট হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
         2. নার্স:
    • স্টাফ নার্স: এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • সিনিয়র নার্স/নার্সিং সুপারভাইজারঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে চার হাজার থেকে সাত হাজার রিয়ার পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • নার্সিং ডিরেক্টরঃ সাত হাজার থেকে বারো হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
       3. ফার্মাসিস্ট:
    • স্টাফ  ফার্মাসিস্ট: এই পেশায় কর্মীরা প্রতি মাসে ৩০০০থেকে ৬০০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • সিনিয়র ফার্মাসিস্টঃ এই বিষয়ে কর্মীরা প্রতি মাসে ৫০০০ থেকে ৯০০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
       4. ল্যাব টেকনিশিয়ান:
    • জুনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান: এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে আড়াই হাজার থেকে চার হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ানঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে ৪০০০ থেকে ৬০০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • ল্যাব ম্যানেজারঃ এই পেশায় কর্মীরা প্রতি মাসে ৬০০০ থেকে ১০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    প্রশাসনিক কর্মীদের বেতন 
    1. অফিস ম্যানেজারঃ
    • এই পেশায় কর্মীরা তিন হাজার থেকে সাত হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার ভিত্তিতে বেতন আরো বেশি হতে পারে।
          2. অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট:
    • এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে দুই হাজার থেকে ৫হাজার রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • কর্মীদের অভিজ্ঞ  অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টদের বেতন ৪০০০ বা তারও বেশি হতে পারে।
         3.  রিসিপশনিস্ট: 
    • এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে ১৫০০ থেকে ৩০০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে  পারেন।
    • অভিজ্ঞ রিসিপশনিস্টদের বেতন ৩ হাজার বা তারও বেশি হতে পারে।
         4. এইচআর ম্যানেজার:
    • এই পেশায় কর্মীরা প্রতিমাসে ৬০০০ থেকে ১২০০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
    • বড় প্রতিষ্ঠানে বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এইচ আর ম্যানেজারদের বেতন ১০ হাজার রিয়াল বা তারও বেশি হতে পারে।

    শেষ কথা

    সৌদি আরবের অর্থনীতি এবং কাজের বাজার বৈচিত্র্যময় এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল। তেল ও গ্যাস খাত এখনো অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি হলেও নির্মাণ ,স্বাস্থ্যসেবা , তথ্যপ্রযুক্তি  ,পর্যটন এবং শিক্ষার খাতেও প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সৌদি আরবের স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনিক কর্মীদের বেতন অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় উচ্চমানের। এই বেতন কাঠামো দক্ষতা , অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয় ।  

    সৌদি আরবের কাজ করতে হলে একজন কর্মীর জন্য আইনগত প্রয়োজনীয়তা, কাজের পরিবেশ , অর্থনৈতিক সুবিধা , সাংস্কৃতিক মানদণ্ড এবং ভাষাগত চাহিদা সম্পর্কে জানা আবশ্যক। পেশাগত সুযোগ এবং কর্মী সুরক্ষার বিষয়ক সচেতন থাকা প্রয়োজন। এই সব বিষয়ে অবগত থাকলে সৌদি আরবে কাজ করে সাফল্য অর্জন করতে পারেন।


    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    টপ ট্রিক্সস্‌ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;

    comment url