১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে ২০২৪ সালে কি কি প্রয়োজন হয় ও খরচসমূহ

ই-পাসপোর্ট ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে চালু করেছে। যা বাংলাদেশের ভ্রমণ  নথি প্রদান ব্যবস্থায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত দিক চিহ্নিত করছে। উপরন্ত বাংলাদেশ তার নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট সম্পর্কিত প্রক্রিয়ার সুবিধা এবং দক্ষতা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে তার সীমানার মধ্যে এবং বিদেশী মিশনে প্রদত্ত পরিষেবা পরিধি প্রসারিত করছে।
১০বছর মেয়াদী  ই-পাসপোর্ট করতে ২০২৪ সালে কি কি প্রয়োজন হয় ও খরচসমূহ

বর্তমান বাংলাদেশে পুরনো এমআরপি পাসপোর্ট এর পরিবর্তে ই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। আপনি চাইলে এখন আর এম আর পি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না। পাসপোর্ট রিনিউ কিংবা নতুন করে ইস্যু করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইপাসপোর্ট দেয়া হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক ই পাসপোর্ট করতে ২০২৪ সালে কি কি প্রয়োজন পড়েঃ

পোস্টের সূচিপত্রঃ

ই-পাসপোর্ট কি

এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ই পাসপোর্ট সেবা চালু করা হয়। কিসের ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই পাসপোর্ট বাংলাদেশ চালু হয়েছে। ই পাসপোর্ট হলো একটি বৈদ্যুতিকভাবে সংযুক্ত পাসপোর্ট যা একটি মাইক্রোচিপ দিয়ে সজ্জিত। এই চিপ টি বাহকের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, জন্মতারিখ , জাতীয়তা ,এবং ছবি ধারণ করে । ই পাসপোর্টের  একটি উন্নত সিকিউরিটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বাহাওকে পরিচয় যাচাই করতে সহায়তা করে।

বর্তমানে দালাল ছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে সহজেই ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা যায়।এখন যে কেউ ঘরে বসে নিজেই নিজের ইপাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে। ঘরে বসে ই পাসপোর্টে জন্য আবেদন করতে কি লাগে আবেদন করার নিয়ম ও খরচ ইত্যাদি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করব।

ইপাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার পর যদি দেখেন কোথাও ভুল হয়েছে তাহলে আপনি তা আর সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। এবং একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ইপাসপোর্টের  জন্য আবেদন করা যায়। 

এমআরপিতে প্রথম দুই পাতায় যে তথ্য থাকতো ই পাসপোর্টে তা আর থাকবে না। সেখানে থাকবে পালিমানের তৈরি  একটি কার্ড ও এন্টেনা। সেখানে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্ট বাকের সব তথ্য। ৩ ধরনের ছবি ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ থাকবে যার ফলে ভ্রমণ কারীর সব  তথ্য সহজে কর্তৃপক্ষ জানতে পারবে।

ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি পাসপোর্ট এর পার্থক্য

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট(MRP) এবং ই পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্যকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা চেক বই আর এটিএম কার্ডের মত করে। চেক বই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনুমোদন করে টাকা প্রদান করে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও সে রকম ভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর হাতে পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে এটিএম কার্ড থাকার ফলে যে কেউ নিজ থেকেই টাকা তুলতে সক্ষম হয়। ঠিক তেমনি ই পাসপোর্ট ধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা পাসপোর্টে আগমন ও তার বহির্গমন শীল দেবেন।

ই-পাসপোর্ট কত মেয়াদে করা যায় এবং এর খরচ সমূহ

ই পাসপোর্ট ২ মেয়াদে করা যায়
  • ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট
  • ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট
  • ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট
  • ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট
৫ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য খরচ সমূহ
  1. সাধারণ ফিঃ পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য সাধারণ ফি ৬৩২৫ টাকা।
  2. জরুরী ফিঃ পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য জরুরী ফি এর পরিমাণ ৮৬২৫ টাকা।
  3. অতি জরুরী ফিঃ এমন অনেক আছে যাদের অনেক দ্রুত পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় যা অতি জরুরী কি নামে পরিচিত। দের জন্য অতিজরুরী ফি এর জন্য খরচ করতে হয় ১২ হাজার ৭৫ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য খরচ 
  1. সাধারণ ফিঃ পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য সাধারণ ফি ৭৫০০ টাকা।
  2. জরুরী ফিঃ পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য জরুরী ফি এর পরিমাণ ৯৫০০ টাকা।
  3. অতি জরুরী ফিঃ এমন অনেক আছে যাদের অনেক দ্রুত পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় যা অতি জরুরী কি নামে পরিচিত। দের জন্য অতিজরুরী ফি এর জন্য খরচ করতে হয় ১৩ হাজার ৬০০ টাকা।
১০বছর মেয়াদী  ই-পাসপোর্ট করতে ২০২৪ সালে কি কি প্রয়োজন হয় ও খরচসমূহ

দশ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য খরচ সমূহ
  1. সাধারণ ফিঃ ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য সাধারণ কি এর খরচ ৮ ০৫০ টাকা।
  2. জরুরী ফি ঃ ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য জরুরী ফি এর খরচ ১০৩৫০ টাকা।
  3. অতি জরুরী ফিঃ ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য অতি জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য খরচ হয় ১৩৮০০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য খরচ 
  1. সাধারণ ফিঃ পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য সাধারণ ফি ৯০০০ টাকা।
  2. জরুরী ফিঃ পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য জরুরী ফি এর পরিমাণ ১১০০০ টাকা।
  3. অতি জরুরী ফিঃ এমন অনেক আছে যাদের অনেক দ্রুত পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় যা অতি জরুরী কি নামে পরিচিত। দের জন্য অতিজরুরী ফি এর জন্য খরচ করতে হয় ১৫ হাজার ৬০০ টাকা।
এছাড়া এই ফি এর উপর ১৫% ভ্যাট যোগ করা হবে। আবেদনপত্র পূরণ করার পরে আবেদনকারীকে একটি ছবি তোলার জন্য এবং বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।আবেদনপত্রটি নিশ্চিত হওয়ার পরে পাসপোর্টটি ১৫ দিনের মধ্যে প্রদান করা হবে।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা সমূহ

আপনার যদি একটি ই পাসপোর্ট থাকে তাইলে আপনি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকবেন। ই পাসপোর্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ভ্রমণকারী খুব দ্রুত, সহজে এবং ই গেটের মাধ্যমে নিজে নিজে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দেশের বাইরে যেতে পারবে। হলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাদের ভিসা চেকিং এর জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। যার ফলে তাদের ইমিগ্রেশন খুব দ্রুত হয়ে যাবে।


বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। ই পাসপোর্ট ধারীরা নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট পাঞ্চ করে ই-গেটের সামনে দাঁড়ালে সেখানে স্থাপিত ক্যামেরা সক্রিয়ভাবে তাদের ছবি তুলে নিবে। এরপর ই গেটের মনিটরে নিজের আঙ্গুলেরের ছাপ দিয়ে নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবে। যদি পাসপোর্টধারির বিদেশ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকে এবং তার তথ্য ও ছবিতে মিল না থাকে তবে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। এবং পাসপোর্টধারির কোনোভাবেই ই গেট অতিক্রম করতে পারবে না।

১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন যেভাবে

ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে একাউন্ট খুলে খুব সহজেই ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার পর আবেদন জমা দেওয়ার দিন ও তারিখ ও পাওয়া যাবে অনলাইনের মাধ্যমে। সেজন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট অনলাইন ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটে ঢোকার পর ডিরেক্ট টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই এপ্লাই অনলাইন ফর ই পাসপোর্ট বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়ায় শুরু করা যাবে।

ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য রয়েছে পাঁচটি ধাপঃ
  • প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে।
  • দ্বিতীয় ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ই-পাসপোর্ট এর মূল ফর্মটি পূরণ করে জমা দিতে হবে।
  • তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইন টাকা জমা দেওয়া যায়।
  • বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ৫ ব্যাংকে যেকোনো একটিতে জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
  • পঞ্চম ধাপে আপনার পূরণকৃত তথ্যগুলো ফাইনাল সাবমিট করতে হবে।

অনলাইন আবেদনের পর ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর জন্য যা করতে হবে

অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম জমা দেওয়ার পর ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা হলে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার জন্য অনলাইন থেকে আপনাকে একটি ডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। অনলাইনে দেওয়া সেই নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আবেদন ফরমের কপি পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিভ, আপনার বাসার বৈদ্যুতিক বিলের কাগজ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়া লাগবে। সঙ্গে অবশ্যই মূল কাগজপত্রগুলো নিতে হবে।  


এরপর ছবি ও আঙুলের ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে। এরপর ছবি তোলা , সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি তোলা শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ একটি রিসিভ দেবে। মাথায় রাখতে হবে পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রশিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানানো হবে এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে কি আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসতে পারবেন।

১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট এর আবেদনের জন্য যা যা লাগবে

  • একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য অবশ্যই এনআইডি কার্ড লাগবে
  • অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে
  • ই পাসপোর্ট করার জন্য 3R সাইজের এক কপি ছবির প্রয়োজন হয়
  • পাসপোর্ট কারির পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়
  • পেশা সনাক্তকরণের জন্য ছাত্র হলে স্টুডেন্ট কার্ড এবং চাকরিজীবী হলে চাকরি কার্ডের প্রয়োজন হয়।
  • ই পাসপোর্ট করার জন্য কোন কাগজেড় সত্যায়িত করার প্রয়োজন পড়ে না।
  • ২০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যিক। তবে তবে যারা বিদেশে থাকে তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন নিবন্ধন সনদ গ্রহণযোগ্য হবে। 
  • ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছর ঊর্ধ্বে সকল আবেদনে ই পাসপোর্ট এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার। 
  • প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদ সমূহ (যেমন ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , ড্রাইভার) ইত্যাদি ক্ষেত্রে আপলোড সংযোজন করতে হবে।
  • অতি জরুরী পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহপূর্বক আবশ্যকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
  • দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট সহ অন্যান্য চার্জ যদি থাকে অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।

১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টে কি ভিসা প্রয়োজন হয়

দেশের প্রচলিত ব্যবস্থার মত ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ভিসার বিষয়টি একই থাকবে। ভিসা কর্তৃপক্ষ বা দূতাবাসগুলো এই তথ্য বা ডকুমেন্ট গুলো ব্যবহার করে আবেদনকারী তথ্য যাচাই করে নিতে পারবে। এরপরে তারা বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার সিল দিতে পারবে বা সন্দেহজনক কিছু বুঝতে পারলে ভিসা বাতিল করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে ভিসা কর্তৃপক্ষ।

অর্থাৎ ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রেও ভিসা প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ এমআরপির প্রচলিত ব্যবস্থার মতোই ই- পাসপোর্টের এর ভিসার বিষয়টিও এরকম থাকবে ।

শেষ কথা

আধুনিকতার ফলে বাংলাদেশও আজ আধুনিকতা ছোঁয়ায় নিজেকে রাঙিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০১৭ সাল থেকে ই পাসপোর্ট চালু করেছে। ই পাসপোর্ট চালু হওয়ার ফলে মানুষজন অতি অল্প সময়ের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদী বা পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট খুব সহজে ঘরে বসে করে নিতে পারে। অনলাইন টেকনোলজির জন্য বর্তমানে পাসপোর্ট অনেকটা সহজলভ্য হয়ে উঠেছে আমাদের জন্য।

ইতিমধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিনটি ই গেট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ বেনাপোল , বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে আরো ৫০ টি ই-গেট স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সিভিল  এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এই গেট স্থাপন করলে এগুলো পরিচালনা করবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টপ ট্রিক্সস্‌ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;

comment url