ছাত্র জীবনে যদি সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করা যায় তাহলে খুব সহজেই ইনকাম করা
সম্ভব হয়ে ওঠে।ছাত্র জীবন থেকে যদি ইনকামের চিন্তা মাথায় না আসে তাহলে একটা
সময় গিয়ে সেটা দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য জীবনকে সাফল্য রাস্তায়
নিয়ে যেতে হলে চিন্তা ধারার পরিবর্তন ছাত্র জীবন থেকে নিয়ে আসতে
হবে।
ছাত্র জীবন থেকেই ইনকামের ওপর মনকে আকৃষ্ট করে তুলতে হবে তাতে আপনার
রেসপন্সিবিলিটি বাড়বে। কিভাবে অন্যকে সেবার মাধ্যমে আকৃষ্ট করতে
হয় সেই অভিজ্ঞতা আপনাকে ছাত্র জীবন থেকেই নিয়ে আসতে
হবে। ছাত্রজীবন থেকেই একজন ছাত্রকে দায়িত্বে সম্পর্কে অবগত থাকতে
হবে। ছাত্রজীবনে ইনকাম করার সহজ ১০ টি কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
ছাত্র জীবন এই ছাত্র জীবন থেকেই আপনাকে ইনকামের চিন্তাধারা
নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। আর এই ছাত্র জীবনের টাকা ইনকাম
করার উল্লেখযোগ্য কৌশলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টিউশনি। ছাত্র জীবনে আপনি
টিউশনি করার মাধ্যমে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। এই টিউশনি যেমন একদিকে আপনাকে
আর্থিকভাবে সচ্ছল করবে অন্যদিকে আপনার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করবে। যা আপনি
আপনার জীবনে চলার পথে এই অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে চলতে পারবেন।
জ্ঞানের পরিধি সীমাবদ্ধ নয়। বরং জ্ঞান বিতরণে জ্ঞান বাড়ে। আপনি ইন্টার
কিংবা অনার্সের ছাত্র হলে খুব সহজে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম
শ্রেণী এমনকি দশম শ্রেণী পর্যন্তও ছাত্র-ছাত্রীদের পরিয়ে
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি মাধ্যমিক,
উচ্চমাধ্যমিক, পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি, গণি্ বিজ্ঞানের, মত বিষয়গুলো
পড়িয়ে আপনি আপনার চাকরির প্রস্তুতি টাও সেরে নিতে পারবেন ।
ছাত্রজীবনের ছাত্র-ছাত্রী পরিয়ে ইনকাম করার প্রচলনটি বেশ পুরনো। তাই একবার
একাধিক ছাত্র-ছাত্রী পরিয়ে বা ব্যাচ আকারে ছাত্রছাত্রী পরিয়ে খুব সহজেই
ইনকাম করা যায়। বর্তমানে টিউশনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করা হয়ে
থাকে। যা ছাত্রছাত্রী খুঁজে পেতে সহযোগিতা করে । তাছাড়া বিভিন্ন কোচিং
সেন্টারে সাথে যুক্ত হয়ে কোচিং করানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ছাত্র জীবনে ইনকাম করুন খন্ডকালীন চাকরি করে
আমাদের দেশে দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এই সংখ্যা
বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছাত্র জীবনে ইনকামের পথকে সচল করতে না পারা। তারা যদি ছাত্র
জীবন থেকে ভবিষ্যৎ কে সমৃদ্ধ করার চিন্তাভাবনা নিয়ে ছোট ছোট
ইনকাম করা শুরু করতো তাহলে হয়তো এই শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আজ বাংলাদেশ অনেক কম
হতো। যদিও বাংলাদেশে ছাত্ররা এখনো ইনকামের ধারায় নিজেদের মেলে
ধরতে পারেনি ।
ছাত্র জীবনে ছাত্রদের পেশা জীবনের সাথে পরিচিত হয়ে যাওয়া উচিত। চাকরি
খুঁজতে গেলে অভিজ্ঞতা না থাকায় চাকরি পেতে অনেক সময় লাগবে আর ভালো কোথাও চাকরি
পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। সরকারি চাকরির যে প্রতিযোগিতা তার সাথে পেরে ওঠে
বর্তমানে বাংলাদেশের মাত্র .৪ পার্সেন্ট শিক্ষার্থী। সেজন্য আপনাকে
ছাত্র জীবন থেকে ছোটখাটো খন্ডকালীন জবগুলোতে মনোনিবেশ করতে হবে
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক খন্ডকালীন চাকরি পাওয়া যায়। এবং তারা
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে বিভিন্ন কল
সেন্টারে নাইট শিফট অথবা মর্নিং শিফটে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও সেলস্
এসিস্ট্যান্টের কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন কাপড়ের ব্র্যান্ডর শোরুম
গুলোতে খন্ডকালীন চাকরি করতে পারেন। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইলে শোরুম
গুলোতে খন্ডকালীন চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। চাইলে খন্ডকালীন চাকরি করে
ছাত্রজীবন থেকে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
ছাত্র জীবনে ইনকাম করুন অনলাইনের মাধ্যমে
বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন রয়েছে।
তারা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম বাড়ির কাজ
সহ অনেক এসাইনমেন্ট করে থাকে। ল্যাপটপ, কম্পিউটার বর্তমানে সহজলভ্য হওয়ার
কারণে বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম শুরু করতে
পারে। এমনকি বর্তমানে অনলাইনে অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল ফোনের
মাধ্যমেও করা যায়। অর্থাৎ মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে অনেক টাকা ইনকাম করা
সম্ভব হয়।
জীবনে পড়াশোনা করার খরচ চালানোর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। যদি
পড়াশুনার পাশাপাশি অন্য কিছু করতে পারেন তাহলে হয়তো এই টাকা আপনি নিজে খুব সহজে
জোগাড় করতে পারবেন।ছাত্র জীবনে চাইলে বর্তমানে খুব সহজে অনলাইনে মাধ্যমে টিউশনি
করানো যায়। এছাড়াও অনলাইনে অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেগুলোতে কাজ করে টাকা
ইনকাম করা যায়। অনলাইনে যে সব প্লাটফর্মে কাজ করে তাকে বলা যায়
সেগুলো হলঃ
ব্লগিং করেঃ আপনার কাছে যদি কম্পিউটার ল্যাপটপ থাকে এবং সাথে
ফোন থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডাটা এন্টির কাজ করেঃ আপনি চাইলে অনলাইনে ডাটা এন্টি কাজের
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ
পাওয়া যায়।
জিমেইল মার্কেটিংঃ ছাত্র জীবনে অনলাইনে জীবন মার্কেটিংয়ের কাজ করে
ইনকাম করতে পারবেন।
এসএমএস মার্কেটিংঃ এসএমএস মার্কেটিং এর কাজ করে আপনি চাইলে খুব
সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ছাত্রজীবনে গ্রাফিক্স ডিজাইন
শিখে গ্রাফিক্সের কাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। বিভিন্ন
প্রেস অফিসগুলোতে খুব সহজে চাকরি ও পাওয়া যায়।
ওয়েব ডেভেলপঃ ওয়েব ডেভেলপের কাজ শিখে বর্তমানে ইনকাম করা খুব সহজ।
কেননা এটি স্থায়ী কাজ ।
ফেসবুক মার্কেটিংঃ ফেসবুক বর্তমানে জনপ্রিয় সোশ্যাল
প্লাটফর্ম। এই ফেসবুকে মার্কেটিং এর কাজ করে খুব সহজে ইনকাম করা
যায়।
ইউটিউব মার্কেটিংঃ ইউটিউব মার্কেটিং করেও বর্তমানে খুব সহজে তাকে
ইনকাম করা যায়।
এছাড়া অনলাইনে আরও অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা
যায়।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন ভার্চুয়াল সহকারী হয়ে
ছাত্র জীবন এই ছাত্র জীবনে ছাত্রদের আর্থিক টানাপোড়া মধ্য দিয়ে যেতে হয় কমবেশি
শিক্ষার্থীদের। এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা পরিবার থেকে কোন সুযোগ সুবিধা পাই
না। পরিবার থেকে টাকা নিতে সংকোচ বোধ করে। শিক্ষাজীবনে এই সময়টায় আত্মিকভাবে
সচ্ছল থাকলে অনেকগুলো সুবিধা পাওয়া যায়। নিজের যাবতীয় খরচ নিজে বহন করতে
পারা যায় যদি ছাত্র জীবন থেকে ইনকামের পথ খুঁজে বের করা যায়।
তেমনি ছাত্র জীবনে ইনকামের সহজ একটি কৌশল হল সহকারী । কেননা ভার্চুয়াল সরকারের
চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যদি ছাত্র জীবনে ইনকাম করতে চান
তাহলে ভার্চুয়াল সহকারী আপনার জন্য একটি হল সুযোগ হতে পারে। এইজন্য আপনাকে
অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে এবং কম্পিউটার চালানো তে পারদর্শী হতে
হবে। ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে আপনি গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করা, ইমেইল
ব্যবস্থাপনা , ব্লক ব্যবস্থাপনা, ই-বুক প্রচার গেস্ট ব্লগিং ইত্যাদি পরিষেবা
গুলো প্রদান করতে পারবে।
ছাত্র জীবনে ইনকাম করার জন্য বনে যান ছোটখাটো উদ্যোক্তা
ছাত্র জীবন থেকেই আপনি বনে যেতে পারেন ছোটখাট তো একজন উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা
সবাই হতে চাই। উদ্যোক্তা হতে হলে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় এই ভ্রান্ত
ধারণা থেকে বের হয়ে এসে যতটুকু পুজি আছে তা নিয়ে ছোটখাটো যেগুলো ব্যবসা করে
লাভবান হওয়া যাবে ছাত্র জীবন থেকে সে ব্যবসা গুলো শুরু করে দিতে হবে।
তবে যে বিষয় নিয়ে ব্যবসা করতে চান সেই বিষয়ে খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করে নিতে
হবে। আপনি যা নিয়ে ব্যবসা করতে চান যে বিষয়ের ক্রেতা
কারা। এবং মার্কেটে তার চাহিদা কেমন সে বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জেনে নিতে
হবে। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে
এমন অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে যারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকেন।
পরিকল্পনা মাফিক আপনি যদি আপনার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনি
অবশ্যই সফল হবেন। আর মনে রাখতে হবে প্রায় সকল সফল উদ্যোক্তাই তাদের ব্যবসা
ব্যবসার শুরু করেছিলেন শূন্য থেকে।
ছাত্র জীবনে ইনকামের জন্য করতে পারেন রাইড শেয়ারিং এর
মাধ্যমে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় তুলনামূলকভাবে কমই আছে। যার
অন্যতম কারণ আমাদের দেশের মানুষেরা ছোট কাজগুলোকে অবহেলা করে। বাইরের উন্নত
দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় সেখানে প্রায় প্রতিটা ছাত্র তাদের নিজেদের হাত
খরচের টাকা কোন না কোন ভাবে নিজেরাই উপার্জন করার চেষ্টা করে।
বর্তমানে রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করা
যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন এই রাইড শেয়ারিং এর কাজ করে একজন
ছাত্র তার পড়াশোনা সহ যাবতীয় খরচ খুব সহজে চালিয়ে নিতে পারে। কেননা বর্তমানে
বাংলাদেশে যানজটের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে জনগণ
রাইড শেয়ারিং এর ব্যবহার বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
ছাত্র অবস্থায় আপনার কাছে যদি মোটরসাইকেল থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে এই রাইড
শেয়ারিং এর কাজটি করতে পারেন। অনলাইনে রাইড শেয়ারিং এর বিভিন্ন
ওয়েবসাইট রয়েছে আপনি সে ওয়েবসাইটগুলোর সাথে যোগাযোগ করে আপনার বাইক রাইড
শেয়ার করে টাকা করতে পারেন।
ডেলিভারি ম্যানের চাকরি করে ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন
পৃথিবীর কোন কাজই ছোট নয়। সব সব কাজেই টাকা উপার্জন করা সম্ভব। হয়তো কম আর
বেশি তফাৎ এইতো। আমাদের দেশে কাজকে যেমন ছোট করে দেখা হয় বাইরের দেশের কাজকে এমন
ছোট করে দেখা হয় না যার কারণে তারা আজ উন্নতির শিকড়ে । বর্তমানে অনলাইনে
লক্ষ্য করলে দেখা যায় ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রচারের ফলে অনলাইনে বৃদ্ধি পেয়েছে
ব্যাপক। মানুষজন মার্কেটে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য অর্ডার করতে
স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে।
তাই দিন দিন অনলাইনে ডেলিভারি ম্যানের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেলিভারি
ম্যানের মূল কাজ হলো বিক্রেতা বা উদ্যোক্তার কাছে থেকে পণ্যটি সংগ্রহ করে
ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দেয়া। বিভিন্ন ই-কমার্স সাইড, ডেলিভারি সার্ভিস ওয়েবসাইট
, অনলাইন শপ , এমন মার্কেটে অনেক দোকান গুলোতে আজকাল তাদের অনলাইন ব্যবসার
জন্য ডেলিভারি ম্যান রাখছে।
আপনি চাইলে খুব সহজে এই ডেলিভারির ম্যানে চাকরি করতে পারেন। সেজন্য আপনার অবশ্যই
একটি মোটরসাইকেল বা সাইকেল থাকা প্রয়োজন। এছাড়া ফুড পান্ডার মত কোম্পানি
তাদের ফুড ডেলিভারি দেয়ার জন্য ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি
চাইলে খুব সহজে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ছাত্র জীবন থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন সেলসম্যানের চাকরি করে
ছাত্র জীবন হচ্ছে আমাদের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এই সময় নানা প্রতিকূলতার মাঝে
পড়তে হয় প্রতিটা ছাত্রকে । কেননা আর্থিক সমস্যা অনেক বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়
পড়ালেখার ক্ষেত্রে। বর্তমানে আমরা সবাই জানি যে যেকোনো চাকরির
জন্য আবেদন করলে প্রথমে জানতে চাওয়া হয় অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। এই চাকরির
বাজারে যে যত বেশি দক্ষ চাকরির বাজারে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
ছাত্র জীবন থেকে যদি আপনার মাথায় চিন্তাধারা আসে তাহলে আপনি সহজে
সেলসম্যান এই চাকরি করতে পারেন। যদিও এতে অনেক সময় ও পরিশ্রম দুটোই
দেয়ার প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন মার্কেটে , শোরুমে কিংবা মেলায় সেলসম্যান
হিসেবে চাকরি করার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয় । সেসব বিজ্ঞাপনের থেকে আবেদনের
মাধ্যমে খন্ডকালীন সেলসম্যান এর চাকরি করতে পারে।
বিশেষ করে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বাণিজ্য মেলা ও বইমেলায় প্রচুর পরিমাণে
সেলসম্যানের নিয়োগ দেয়া হয়। আপনি চাইলে খুব সহজে এসব চাকরি গুলো লুফে
নিতে পারেন ছাত্র অবস্থায়। এবং এখানে ছাত্রদের বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন ফুড কার্টের দোকান দিয়ে
কথায় আছে "ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়" অর্থাৎ আপনার যদি প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকে
এবং উদ্দেশ্য যদি সৎ হয় তাহলে আপনি যে কোন কাজে সফলতা পাবেন। ছাত্র
জীবনের টাকা ইনকাম করার অনেক কৌশল রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম
একটি কৌশল হচ্ছে ফুড কার্টের দোকান। দিন দিন এই ফুড
কার্টের চাহিদা বেড়িয়ে চলেছে।
বর্তমান আধুনিক যুগের মানুষ বাইরের খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে। সন্ধ্যা
নামলেই প্রতিটা শহরেই যেন এক একটা রেস্টুরেন্ট হয়ে ওঠে। আপনি
চাইলে ছাত্র অবস্থায় ফুড কার্টের এই ব্যবসা করে ইনকাম করতে
পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বা বাইরে
কিংবা বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে এই ফুড কার্টের দোকান দিয়ে ইনকাম
করতে পারবে।
এর জন্য অবশ্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না। ছোটখাটো একটা ভ্যান
গাড়ি, জিনিসপত্র বানানোর জন্য গ্যাসের চুলা হাড়ি পাতিল এবং এই দোকান
পরিচালনার জন্য দুই থেকে তিনজন এই যথেষ্ট। অর্থাৎ অল্প পুজিতে লাভবান হওয়া
যায় এই ফুড কার্ট দোকানের মাধ্যমে।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন ড্রপশিপিং করে
ছাত্র জীবনে আপনি ইনকাম করতে পারেন ড্রপশিপিং করার মাধ্যমে। যেখানে
আপনি বিক্রি করতে পারবেন অন্য কারো পণ্য। যেখানে আপনাকে শিপিং কোন
ঝামেলা নিতে হবে না। আপনি যে হোলসেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যবসা করবেন তারাই
আপনার অর্ডারকৃত পণ্যটি আপনার কাস্টমারের বাসায় পৌঁছে দিবে।
ছাত্রাবস্থায় আপনি অনেক বড় রকমের লাভের মুখ দেখতে চাইলে অনলাইন আয়ের
স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ড্রপশিপিং শুরু করতে পারেন। কেননা এই ড্রপ শিপিং
পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ব্যবসা করার জন্য কোন পণ্যের প্রয়োজন হয় না।
অর্ডার পাওয়ার পর সেটি অন্য কোন ব্যবসায়ীকে অর্ডারটি ট্রান্সফার করে দিতে হয়।
আপনার কাজটি অনেকটা মধ্যস্থকারীর মতো।
একটা কাজ শুধু পণ্যের অর্ডার নিয়ে এবং ট্রান্সফার করা। এখানে স্পর্শ করা ছাড়াই
আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এবং মাঝখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে
পারবেি। আর ছাত্র অবস্থায় এই কাজটি সত্যিই আপনার কাছে আয়ের স্বর্গের
মত।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন বাইক মেসেঞ্জারিং করে
ছাত্র জীবন থেকে ইনকাম শুরু করা এটা ছাত্রের দায়িত্ব বলে মনে করি। এক্ষেত্রে
একজন ছাত্র ছাত্র অবস্থায় খুব সহজে এই বাইক মেসেঞ্জারিং কাজটি করে অর্থ উপার্জন
করতে পারে। কেননা বর্তমানে এই বাইক মেসেঞ্জার ইন কাজটি অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম
হয়ে দাঁড়িয়েছে । অনেকেই ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটখাটো পার্সেল
পাঠাতে চাই।
প্রফেশনাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠালে এটি সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুলও
হয়। তাই যেসব ছাত্রের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল আছে তারা চাইলেই এই পার্সেল
গুলো এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে দিয়ে কিছু টাকা উপার্জন করতে সক্ষম
হবে। কেননা এই বিষয়ে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি টাকা ইনকাম করে
থাকে। এবং দেশি-বিদেশি এমন হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার
সুযোগ ঘটে।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করে
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি
বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোশনের কাজে নিয়োজিত। একজন ছাত্র চাইলে এসব
প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ আয়ত্ত
করতে পারবে আবার এখান থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবে।
অফলাইন ইনকামের একটি অসাধারণ কৌশল হলো এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে একাধিক সেবাকে এক স্থানে আনতে
হয়, যেন আপনি চাইলে অন্যদের হায়ার করেও করতে পারেন বা নিজের
একটি টিম তৈরি করতে পারেন এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ ব্যবস্থা করতে হলে একাধিক বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
লাভজনক ব্যবসা হলেও এটি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা না থাকলে ব্যবসা শুরু করতে বেশ
সমস্যায় পড়তে হবে। যার কারণে ছাত্র অবস্থায় এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর
কাজ আয়ত্ত করতে পারলে ছাত্র অবস্থায় শেষ হতে হতে একটা ছাত্র মোটা অংকের
অর্থ উপার্জনের সক্ষম হবে।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করুন পশুপাখি পালন করে
যাদের মধ্যে পশুপাখি পালন করা শখ বা দুর্বলতা আছে তারা চাইলে পশুপাখি
পালন করার মাধ্যমে নিজের শখ পূরণ করার পাশাপাশি আয় করারও সুযোগ পাবে। এমন
ধরনের পাখি পোষা লাগবে যেগুলোর ডিম বাচ্চা করে এবং অল্প জায়গার মধ্যে পালন
করা যায়। যেমন কোকাডেল পাখি, বাজরিকা পাখি, লাভ বার্ড, টিয়া পাখি,
ডায়মন্ড ডাব। এ ধরনের পাখিগুলো পালন করতে বেশি জায়গায় প্রয়োজন হয় না
এবং বেশি খাবারের প্রয়োজন হয় না। এবং এগুলো অনেক ডিম বাচ্চা দেওয়ায় এগুলো
বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
এ ছাড়া একুরিয়ামে বিদেশি মাছ লালন পালন করে সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা
যায়। এছাড়া আপনি চাইলে বর্তমানে পশু হোস্টেল বানিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
মানুষ জন যাদের বাসায় বিড়াল অথবা কুকুর আছে তারা যখন বাসার বাইরে যায় তখন তারা
তাদের পোষা বিড়াল বা কুকুর নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। আপনার যদি পশু
হোস্টেল থাকে তাহলে সেখানে নির্দিষ্ট একটি চার্জের মাধ্যমে পশুপাখি
দেখাশোনা করে ইনকাম করতে পারবেন।
ছাত্রজীবনে ইনকাম করার সহজ একটি কৌশল ফটোগ্রাফি
বর্তমান সময়ে ফটোগ্রাফি এর প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে। আপনারা যদি ছবি
তুলতে ভালো লাগে তাহলে এই পেশায় যুক্ত হতে পারেন। ফটোগ্রাফি অনেক
প্রতিভাবান একটি বিষয় যা সবার দ্বারা সম্ভব হয় না। আপনার যদি ফটোগ্রাফির প্রতি
দুর্বলতা থাকে তাহলে আপনি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এবং শখের এই
ফটোগ্রাফির কাজটা আপনি ছাত্রঅবস্থা থেকেই আয়ত্ত করার চেষ্টা করবেন।
ফটোকপি করার জন্য প্রয়োজন ভালো মানের একটি ক্যামেরা। ভালোমানের একটি ক্যামেরা
ক্রয় করে তারপর বিভিন্ন মানুষের ছবি তুলার মাধ্যমে নিজের মাঝে পেশাদারিত্ব
নিয়ে আসতে হবে। প্রথম কয়েক মাস ছবি তোলার জন্য কোন রকমের টাকা পয়সা নেয়ার
প্রয়োজন নেই কারণ এটা আপনার শেখার সময়। একটা সময় পর আপনি যখন অভিজ্ঞতা অর্জন
করতে পারবে এবং ভালো কোয়ালিটির ছবি মানুষকে উপহার দিতে পারবেন সেই সময় আপনার
চাহিদা এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে। এবং টাকার বিনিময়ে আপনাকে হায়ার করবে।
যদিও ফটোগ্রাফি এই শখের কাজটা সব ছাত্রের জন্যই না। কেননা একটি ভালো
মানের ক্যামেরা কেনার সামর্থ্য সব ছাত্রের থাকে না। তাই শুধুমাত্র যেসব
ছাত্রের সামর্থ্য আছে তারাই এই ফটোগ্রাফির কাজটা করতে পারবে।
ছাত্রঅবস্থায় ইনকাম করুন রেস্টুরেন্টে চাকরি করে
ছাত্র জীবন এই জীবনের প্রতিটা সময়েই প্রতিটা ছাত্রকে কাজে লাগানো
উচিত। ছাত্র অবস্থায় যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তারা চাইলে খুব সহজে
রেস্টুরেন্টে চাকরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবে। দিন দিন রেস্টুরেন্টের সংখ্যা
বেড়ে চলেছে। আর এসব রেস্টুরেন্ট গুলোতে ওইটারের প্রয়োজন দিনের বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একজন ছাত্র অবস্থায় চাইলে খুব সহজে এসব রেস্টুরেন্ট গুলোতে যোগাযোগ করে তার
ছাত্র অবস্থায় খন্ডকালীন চাকরি করে তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
ছাত্র জীবনে আয় করা সম্পর্কে কিছু ছোট প্রশ্ন ও তার উত্তর
আমরা ছাত্র অবস্থায় অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকি বা টাকা আয়
করার জন্য অনেকের কাছে অনেক জায়গায় ছোটাছুটি করি। এই আলোচনায়
আপনাদের জন্য ছাত্র জীবনে আয় করা সম্পর্কে কিছু ছোট প্রশ্ন ও তার উত্তর
দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিচে বিস্তারিতঃ
প্রশ্ন ১। ছাত্র জীবনে কি ইনকাম করা সম্ভব ?
উত্তরঃ হ্যাঁ ছাত্র জীবনে ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে
ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন
উপায়ে ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। আপনি চাইলে ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি
ব্যবহার করে ছাত্র জীবনে আয় করতে পারে।
প্রশ্ন ২। ছাত্র জীবনে ইনকাম কিভাবে শুরু করব ?
উত্তরঃ প্রথমে আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা আছে বা আগ্রহ আছে তা চিহ্নিত
করুন। এটা হতে পারে ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, হাতের
লেখা, টিউশনি, প্রোগ্রামিং, ইত্যাদি। চাইলে আপনি বিভিন্ন
আইটি সেক্টর থেকে অনলাইন কাজের বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন। আপনি চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রশ্ন ৩। অনলাইন টিউশনি কি এবং কিভাবে শুরু করা যায় ?
উত্তরঃ অনলাইন টিউশনি হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ানো।
শুরু করতে গুগল মিনিট বা জুম ব্যবহার করে পড়ানো শুরু করতে পারেন। এছাড়াও
tutor.com, chegg tutors এর মতো সাইটে রেজিস্টার করে পড়াতে পারেন।
প্রশ্ন ৪। টাকা আয়ের জন্য সহজ উপায় কি?
উত্তরঃ টাকা আয়ের বিভিন্ন রয়েছে। তার মধ্যে সহজ কিছু উপায়
হচ্ছে ব্লগিং করা, ইউটিউব মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং, ই-কমার্স সাইট গুলোতে ড্রপ শিপিং
করা ইত্যাদি।
শেষ কথা
শেষ কথা হিসেবে এ কথা বলা যায় যে , ছাত্র জীবন জীবনের অন্যতম একটি সেরা
সময়। এই সময়টা আপনি যেভাবে ব্যয় করবেন আপনার ভবিষ্যৎ আপনার কাছে ঠিক তেমন
ভাবেই ধরা দেবে। আপনি যদি এই ছাত্র জীবনটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগান তাহলে
সাফল্য অবশ্যই আপনাকে ধরা দিবে।
উপরোক্ত আলোচনা ছাড়াও আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো ছাত্র জীবনে ছাত্ররা করে অর্থ
উপার্জন করতে পারবে। একজন ছাত্র চাইলে তার নিজের শখের উপর নির্ভর করে তার
ইনকামের পথকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। চাইলে সে অনলাইনে ই-কমার্স এর মাধ্যমে ইনকাম
করতে সক্ষম হবে। এছাড়া বিভিন্ন কল সেন্টার চাকরি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে
পারে।
টপ ট্রিক্সস্ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;
comment url