বাংলাদেশে বসে আমেরিকার অনলাইন বাজারে ব্যবসা করার কৌশল
Top Tricks IT
৩ জুন, ২০২৪
বাংলাদেশে বসে আমেরিকাতে ব্যবসা করার পথ এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। বর্তমান
বিশ্বায়নের ফলে পুরো পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। আর আপনি
চাইলে এ বিশ্বায়নকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বসে পৃথিবী যেকোনো
প্রান্তে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। কেননা বিশ্বায়নের ফলে সবকিছুই আজ
সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই লাভজনক একটি কাজ। অনলাইনে ব্যবসা করার
মাধ্যমে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রচুর কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে। অনেক
ব্যবসা যেখানে শুরু হয়েছিল তার সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও প্রসারিত
হয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধনী বাজার হচ্ছে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র। যদিও অন্য দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে ব্যবসা করা কঠিন
হয়। তাছাড়াও পেমেন্টের মতো ঝামেলাতে পড়তে হয়। দেশে বসে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের কোনরকম ঝুঁকি ছাড়া কিভাবে ব্যবসা করবেন চলুন তা আজ
আলোচনা করা যাকঃ
আমেরিকাতে অনলাইন বাজারে ব্যবসার জন্য কি
কি প্রয়োজন পড়ে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা করার জন্য আপনার মার্কিন নাগরিকত্বের
প্রয়োজন হয় না। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশী উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানানোর
জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা করার জন্য আপনার যা
কিছু প্রয়োজন হবে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করব।
EIN নাম্বার ঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য বিভিন্ন সুবিধার
দরজা খুলে দেয়। এই সুবিধা গুলো তাদের সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাপী
খ্যাতীয় অর্জনে। কেননা ইউএসএ বাজার আপনার কোম্পানিকে দেয়
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। অনেক মার্কিন শহর উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করার জন্য
বিভিন্ন রকম প্রণোদনা প্রদান করে থাকেন।
বাংলাদেশে বসে আমেরিকাতে ব্যবসা করার জন্য নিবন্ধন যুক্ত এটি কোম্পানির
প্রয়োজন পড়ে। যা আপনার ব্যবসার জন্য কর্মচারী নিয়োগ করতে সুবিধা প্রদান
করবে এবং কর্মসংস্থান নির্দিষ্ট একটা আয়ের অনুসরণ করে চলবে। আর এই জন্য
আপনার প্রয়োজন ein নাম্বার যা ফেডারের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার নামে
পরিচিত। এটি মূলত আপনার অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা থেকে অনলাইনে পেতে পারেন।
Tax সার্টিফিকেট ঃ বাংলাদেশে বসে আমেরিকাতে ব্যবসা
করার জন্য আমেরিকার টেক্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পড়ে। আমেরিকান ট্যাক্স
সার্টিফিকেট না থাকলে আপনি কোন ভাবেই আমেরিকাতে ব্যবসা করতে পারবেন
না। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্য কম করের হার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের
বাণিজ্যিক অফার দিয়ে থাকে যা আপনার ব্যবসাকে ট্যাক্স এর পরিমাণ
কম করতে সহায়তা করবে।
LLC : আমেরিকাতে ব্যবসা করার অনলাইন অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
সেই প্লাটফর্ম গুলোতে ব্যবসা করার জন্য এলএলসি প্রয়োজন পড়ে। এই LLC (
Limited Liability company) ছাড়া কোনভাবেই সেই প্লাটফর্মগুলোতে ব্যবসা করতে
পারবেন না। LLC মূলত আপনার ব্যক্তিগত সম্পদের সুরক্ষা প্রদান করে। এতে আপনার
একটি আইনি সত্তা যার মানে আপনি আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ গুলি ব্যবসায়িক ঋণ এবং
দায় থেকে রক্ষা করবেন।
LLC মালিকদের সদস্য বলা হয় তারা তাদের ব্যক্তিগত ট্যাক্স রিটার্নের ব্যবসায়িক
আয় রিপোর্ট করে।এটি তার নমনীয়তার জন্য পরিচিত এবং একটি কর্পোরেশনের তুলনায় কম
আনুষ্ঠানিক প্রয়োজন।অনলাইন বাজারে আমেরিকান ein ,llc,
tax সার্টিফিকেট তৈরি করে দেয় এমন অনেক সংস্থা আছে আপনি চাইলে তাদের
সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। আপনি আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
DUNS নাম্বারঃ DUNS নাম্বার হলো
ডেটা ইউনিভার্সাল নাম্বারিং সিস্টেম। DUNS নাম্বার মূলত একটি
ব্যবসাকে চিহ্নিত করে। DUN & BRADSTEET নাম্বারটি তৈরি করে যা তার
ডাটাবেজে একটি ব্যবসায়িক প্রোফাইল তৈরি করে এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কর্পোরেট
তথ্যের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা, এবং কর্মীদের সংখ্যা, এবং ব্যবসার লাইন প্রদান
করে থাকে। আমেরিকাতে কোম্পানি সনাক্ত করার জন্য
DUNS নাম্বারের প্রয়োজন হয়।
ওয়েবসাইটঃ বাংলাদেশে বসে আমেরিকার অনলাইন বাজারগুলোতে ব্যবসা করার
জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। নিচে আমরা আমেরিকান অনলাইন
বাজারে কোন ব্যবসা গুলো করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার
যদি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সহজে সেই ব্যবসা গুলো করতে
পারবেন বাংলাদেশে বসে আমেরিকার অনলাইন বাজারে।
বাংলাদেশে বসে ব্যবসা করুন আমাজনে
আমেরিকার মার্কেটে amazon মার্কেট সবচেয়ে বড়
মার্কেট। অ্যামাজন মার্কেটে দিন দিন গ্রাহক এর সংখ্যা বৃদ্ধি
পাচ্ছে। আপনি বাংলাদেশে বসে খুব সহজে আমেরিকার মার্কেটে ব্যবসা করতে
পারবেন।আপনার কাছে উপরোক্ত আলোচনার সার্টিফিকেটগুলো থাকলে খুব সহজে
বাংলাদেশে বসে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বাংলাদেশে বসে অ্যামাজনে কোন সেক্টরে কাজ
করে বেশি লাভবান হবেন সেগুলো আলোচনা করা করি ;
অ্যামাজন ড্রপ শিপিংঃ বাংলাদেশে বসে আপনি খুব সহজে আমেরিকার amazon
মার্কেটে ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। ড্রপ
শিপিং হচ্ছে অন্য একটি মার্কেটপ্লেসের পণ্য টার্গেট করে আপনি আপনার
অ্যামাজনে সেই পণ্যটি অ্যাড করে বিক্রি করতে পারবেন এবং গ্রাহকের চাহিদা
অনুযায়ী সেই সাপ্লায়ার মার্কেটপ্লেস থেকে পণ্য ক্রয় করে
গ্রাহকের বাসায় পৌঁছে দিতে পারবেন। এতে আপনি কম দামে পণ্য
কিনে নির্দিষ্ট একটি দামে amazon এ বিক্রি করে লাভবান হতে
পারবেন।
তবে অ্যামাজনে ড্রপ শিপিং বিজনেস টি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ
সর্তকতা সাথে ব্যবসা করতে হবে। তাছাড়া অ্যামাজন স্টোর সাসপেন করে ছয় থেকে
এক বছরের জন্য টাকা আটকে রেখে দিবে। অ্যামাজন ড্রপ শপিং এর জন্য
আপনার সাপ্লাইয়ার হবে ছোট বড় বিভিন্ন মার্কেট প্লেস যেমন ওয়ালমার্ট,
টার্গেট ডট কম , ইবে ইত্যাদির মত বাজার গুলির।
অ্যামাজন এফবিএঃ অ্যামাজন ড্রপ শিপিং যতটা সহজে করা যায়
অ্যামাজন এফবিএ ততটা সহজে করা যায় না। তবে এটা ড্রপ শিপিং এর চেয়ে কম
ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা এ ক্ষেত্রে পণ্য কোন মার্কেটপ্লেস থেকে না কিনে সরাসরি
উদ্যোক্তা বা ব্র্যান্ড কোম্পানি থেকে কেনা হয়। এর জন্য অথরাইজ লেটার থাকে
যা অ্যামাজন চাইলে সময় মতো দেখানো যায়।
অ্যামাজন মার্কেটে আছে এমন ভালো কিছু প্রোডাক্ট বেছে নিয়ে সরাসরি
ব্র্যান্ড বা উদ্যোক্তা থেকে কিনে অ্যামাজনের ব্যবসা করতে পারবেন।
পণ্য বাছাই এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পণ্যের রিভিউ রেটিং এবং amazon
এর ডিমান্ড কেমন সেগুলো ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। আর আপনার কাছে অবশ্যই পণ্য
কেনার paid invoice এর পিএনজি ডকুমেন্ট রাখতে হবে। amazon যখন
যাচাই করবে সে সময় আপনি যেন পেইড ইনভয়েসটি দেখাতে পারেন।
অ্যামাজন প্রাইভেট লেবেলঃ অ্যামাজনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যবসা
হচ্ছে amazon প্রাইভেট লেভেল। অ্যামাজনে আপনি নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড চালু
করতে পারবেন। যে ব্র্যান্ড নিয়ে শুধুমাত্র আপনি একাই ব্যবসা করতে পারবেন। আপনি
ছাড়া অন্যরা এই পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন না যত সময় না আপনি তাদের
অনুমতি দিবেন। আপনি বাংলাদেশে বসে খুব সহজে আমেরিকাতে
amazon এর মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ড চালু করতে পারবেন আপনার
পছন্দের নাম অনুযায়ী।
প্রাইভেট লেভেলের ব্যবসা করার জন্য আপনি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা অবশ্য
প্রয়োজন। আপনি চাইলে সে পণ্যটি নিয়ে এই ওয়েবসাইটেও বিক্রি করতে পারবেন। তাতে
আপনার কোন amazon এ বিক্রয়ের পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটেও ভালো একটা ব্যবসা
করার সুযোগ থাকবে।
অ্যামাজন বুক পাবলিসঃ বাংলাদেশে বসে আমেরিকাতে বুক
পাবলিশের ব্যবসা করবেন কিভাবে এটা সত্যি ভাববার
বিষয়। কিন্তু আপনি খুব সহজেই বাংলাদেশে বসে আমেরিকাতে বুক পাবলিশের
ব্যবসা করতে পারবেন। এর জন্য আপনার তেমন কোন বিনিয়োগ লাগবে না ।
শুধুমাত্র একটি payoneer একাউন্টের প্রয়োজন পড়বে। অ্যামাজন
KDP সাইটে একাউন্ট করে পেমেন্ট মেথইড এ payoneer দিয়ে আপনি খুব
সহজে বুক পাবলিশের ব্যবসা করতে পারবেন।
বাংলাদেশে বসে ব্যবসা করুন আমেরিকার অনলাইন বাজার
ওয়ালমার্টে
আমেরিকার আরেকটি অন্যতম বাজার হচ্ছে ওয়ালমার্ট। আপনার কাছে
যদি আমেরিকার (ein , llc, tax সার্টিফিকেট) তাহলে আপনি খুব সহজে
ওয়ালমার্টে করতে পারবেন। ওয়ালমার্ট বাজারেও রয়েছে অনেক ক্রেতা
। যারা প্রতিনিয়ত ওয়ালমার্ট থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে। আপনি
চাইলে খুব সহজে বাংলাদেশে বসে আমেরিকার ওয়ালমার্টে নিজস্ব পরিচালনায়
ব্যবসা করতে পারবেন।
ওয়ালমার্ট বাজার হলো একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যার তৃতীয়
পক্ষের বিক্রেতা দের ওয়ালমার্ট নিজস্ব ইনভেন্টরের পাশাপাশি তাদের
পণ্যগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে এবং বিক্রি করতে দেয়। ওয়ালমার্ট তাদের পণ্যের
অফার গুলোকে প্রসারিত করে উপকৃত করে না বরং ছোট এবং মাজারি আকারের ব্যবসার জন্য
একটি লাভজনক সুযোগ প্রদান করে থাকে। ওয়ালমার্ট বাজারে তালিকাভুক্ত করার
মাধ্যমে আপনি ওয়ালমার্টের ব্যাপক গ্রাহক নেটওয়ার্কের ট্যাপ করেন যার ফলে
আপনার পণ্যের দৃশ্যমানতা এবং বিক্রয়ের সম্ভাবনা ব্যাপক হারে প্রসারিত হয়।
ওয়ালমার্ট ড্রপ শিপিংঃ আমেরিকার ওয়ালমার্ট প্ল্যাটফর্মে যেকোন
ভালো পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি ওয়ালমার্ট ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে খুব
সহজে বাংলাদেশে বসে ব্যবসা করতে পারবেন। ড্রপশিপিং করার জন্য অবশ্যই
ভালো পণ্য বেছে ব্যবসা করতে হবে। কাস্টমার পণ্যের রেটিং এর উপর নির্ভর
করে ক্রয় করে থাকে। ওয়ালমার্ট ড্রপিংশিপিং করার জন্য আপনাকে অন্য
মার্কেটপ্লেসের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে। সেই মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে
পন্য কিনে ক্রেতার বাসায় পাঠিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।
ওয়ালমার্ট ডব্লিউএফএস ঃ ওয়ালমার্ট ডব্লিউএফএস হল
ই-কমার্স বিক্রেতাদের জন্য একটি সাশ্রয়ী সমাধান। ওয়ালমার্ট একটা মুদির
দোকানের মত পণ্য বেকারি, দুগ্নজাত পণআ্ ইলেকট্রনিক, পোশাক , , খেলনা এবং
বাড়ির আসবাবপত্রের সাথে একত্রিত করে একটি ওয়ান স্টপ কেনাকাটার অভিজ্ঞতা অফার
করে। যার ফলে এখানে গ্রাহকের সংখ্যা রয়েছে অনেক। আর ওয়ালমার্ট হচ্ছে
বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম। সে কারণে এখানে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করা করা
যায়। যদিও সে ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।
ওয়ালমার্ট ডব্লিউএফএস করার জন্য আপনাকে অথরাইজ সাপ্লাইয়ের থেকে পণ্য ক্রয়
করতে হবে।চাইলে আপনি সরাসরি কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয় করে ব্যবসা করতে পারেন। সে
ক্ষেত্রে আপনি ব্র্যান্ডের কাছে থেকে পণ্য বিক্রয়ের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করতে
পারবেন। যেখানে ঝুঁটির পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকবে। কোন মার্কেটপ্লেস থেকে
পণ্য ক্রয় করে ডব্লিউএফএস করাটা অনেক
ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে স্টোরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে
স্টোর টারমিনেটেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশে বসে ব্যবসা করুন আমেরিকার অনলাইন বাজার Ebay তে
আমেরিকার আরেকটি উল্লেখযোগ্য বাজার হচ্ছে Ebay বাজার। এই বাজারেরও গ্রাহক
সংখ্যা অনেক। Ebay হল একটি বিশ্বব্যাপী অনলাইন নিলাম এবং ট্রেডিং কোম্পানি।
Ebay হলো পণ্য ও পরিষেবার ক্রেতা এবং বিক্রেতা দের সাথে মিলে একটি
ইন্টারনেট ওয়েবসাইট তৈরি ও বাজারজাত করার প্রথম কোম্পানিগুলোর মধ্যে
একটি। আপনি চাইলে খুব সহজে বাংলাদেশে বসে আমেরিকার Ebay বাজারে ব্যবসা
করতে পারে। যে ব্যবসা গুলো Ebay বাজারে করতে হবে সেগুলো আলোচনা
করিঃ
Ebay ড্রপ শিপিংঃ ড্রপ শিপিং ব্যবসাটা হচ্ছে
পন্য গুদামে সংরক্ষণ না করে বিক্রি করা। এই পদ্ধতিতে খুচরা বিক্রেতা পণ্য
সংরক্ষণ করে না বরং টেনে তৃতীয় পক্ষে সরবরাহকারী থেকে তখনই পণ্যগুলি ক্রয় করেন
যখন সে অর্ডার পাই বা তার ওয়েবসাইট বা স্টোর থেকে পন্যের অর্ডার আসে।আপনি চাইলে
খুব সহজে এই Ebay মার্কেটে ব্যবসা করতে পারবেন।
Ebay মার্কেটে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করার জন্য কাস্টমারের চাহিদার উপর নজর দিতে হবে। কাস্টমার বা
ক্রেতা কি ধরনের পণ্য চাই বা কি ধরনের পণ্য পেলে তারা সাথে সাথে কিনে নেবে
এমন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। পণ্যে অবশ্যই রেটিং রিভিউ থাকা লাগবে।
তাহলে কাস্টমার আকৃষ্ট হবে। এতে আপনি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে অধিক লাভবান
হওয়ার সুযোগ পাবেন।
Ebay শেয়ারঃ আপনি চাইলে বাংলাদেশে বসে Ebay শেয়ার ক্রয়
করতে পারবেন। আপনি ব্রোকার এর মাধ্যমে Ebay শেয়ার ক্রয়
করতে পারেন। Ebay যেহেতু NASDAQ এ ট্রেড করা হয় NASDAQ তাই
এ এক্সেস প্রদান করে এমন একটি ব্রোকার খুঁজে নিতে হবে। এক্ষেত্রে একটি
নিরাপদ এবং বৈধ ব্রোকারের প্রয়োজন পড়বে। সবচেয়ে কম খরচে এবং কার্যকর
ভাবে স্ট্রোক কেনা যায় এবং বিক্রি করা যায় এমন ব্রোকার খুজে বের করতে হবে।
বা আপনি চাইলে আপনার কাছে কোন মানুষের থেকেও সহযোগিতা দিতে পারেন।
বাংলাদেশে বসে আমেরিকায় ওয়্যার হাউজের ব্যবসা করুন
আমেরিকা লাভজনক ব্যবসা মধ্যে অন্যতম লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ব্যবসা। ওয়্যারহাউজ
বা 3PL এই ব্যবসায় আপনি অ্যামাজন ও
ওয়ালমার্টের স্টোর মালিকদের যারা অ্যামাজন এফবিএ ও ওয়ালমার্ট
ডাব্লিউএফএস এর কাজ করে তাদের সাথে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন। তাদের
পণ্য আপনার ওয়্যারহাউজে নিয়ে লেভেল লাগানোর কাজ করতে পারেন। এমনকি
তাদের পণ্য আপনার হাউজে রেখে তাদের কাস্টমারের ঠিকানায় পাঠানোর কাজ করতে
পারে।
ওয়্যারহাউজ বা 3PL ব্যবসার জন্য অবশ্যই বড় জায়গায় প্রয়োজন হয়।
এবং সাথে দুই থেকে তিনজন কর্মচারীর প্রয়োজন পড়ে। যারা পণ্যেশিপিং লাগানোর
কাজ করবে। পণ্য রিসিভ করবে। এবং অন্য যথাযথভাবে কাস্টমারের
দেওয়া ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে। এজন্য আপনাকে প্রিন্টার মেশিন কিনতে
হবে যাতে লেভেল গুলো প্রিন্ট আউট করে পণ্যের গায়ে লাগিয়ে দিতে পারেন।
আপনি চাইলে বাংলাদেশে বসে খুব সহজে ব্যবসা করতে পারবে।
শেষ কথা
শেষ কথা এটা বলা যায় পৃথিবীর আধুনিকতার ফলে আজ ঘরে বসে খুব সহজেই এক দেশ থেকে
অন্য দেশে ব্যবসা করা যায় । সে ক্ষেত্রে আমেরিকা
অন্যতম একটি দেশ যারা বাইরের দেশের উদ্যোক্তাদের নিজেদের দেশে ব্যবসা করার
সুযোগ সুবিধা দেয়। আমি নিজেও দীর্ঘদিন amazon এবং ওয়ালমার্ট প্লাটফর্মে কাজ করে যাচ্ছি দক্ষতার সাথে।
ব্যবসায় ঝুঁকি থাকে ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে হয়। সব ব্যবসায় ঝুঁকি রয়েছে তেমন
amazon এবং ওয়ালমার্ট কিছু ঝুঁকি রয়েছে। তবে যদি amazon এবং ওয়ালমার্টরে
নির্দিষ্ট নিয়মও শর্তাবলী মেনে ব্যবসা করা যায় সেক্ষেত্রে একটা
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যবসা করতে সক্ষম হওয়া যায়।
amazon এবং ওয়ালমার্ট বাজারে ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় সুবিধা
হচ্ছে সময়মতো টাকা পাওয়া যায় এবং টাকার জন্য কোন চিন্তা করতে হয় না। যা
বাংলাদেশের অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে আশা করা যায় না।
টপ ট্রিক্সস্ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;
comment url