মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করার নিয়ম

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর জন্য আমরা অনেক রকম চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি আপনার ফোনে ডিফল্ট অবস্থায় কিছু সেটিং দেওয়া আছে। সেই সেটিংগুলি যদি আপনি জানেন এবং সেগুলো যদি যথাযথ ব্যবহার করা জানেন তাহলে আপনার ফোনের ইন্টারনেট স্পিড দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করার নিয়ম

আপনি যদি নিজের মোবাইলে খুব সহজে ছবি এবং ভিডিও দ্রুত ডাউনলোড করতে চান এবং মেসেজ যথাযথ সময়ে ডেলিভারি করাতে চান তাহলে আজই আপনার ফোনে ইন্টারনেটে গতি বাড়িয়ে নিন। মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড কিভাবে বাড়াবেন তা আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

পোস্টের সূচিপত্রঃ

মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড কম হওয়ার কারণ

ইন্টারনেট স্পিড সমস্যা একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনলাইনে একটা ভিডিও দেখতে গেলে ইন্টারনেট স্পিড কম থাকার কারণে ভিডিও পুরোপুরি দেখতে পারিনা বা ভিডিও দেখতে সমস্যা হয়। তাছাড়া ইন্টারনেট স্পিড এর গতি কম হলে কোন কিছু ডাউনলোড করতে গেলে চরম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইন্টারনেট স্পিড স্লো থাকার কারণে  কারণে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে হতে হয় নাস্তানাবুদ। পাশাপাশি মেসেজ পাঠানোর পরও মেসেজ সেন্ড হওয়ার জন্য বসে থাকতে হয়।

একাধিক কারণে মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। যা আমাদের কাজে কিংবা বিনোদনের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটায়। আপনি কোথায় আছেন সে জায়গার উপর নির্ভর করে আপনার ফোনের ইন্টারনেটের গতি বাড়তে বা কমতে পারে। ফোনে একসঙ্গে অনেকগুলো অ্যাপ চললে ইন্টারনেটে গতি কমে যেতে পারে। মোবাইল ফোনে ভারী গেমস এবং হাই রেজুলেশন এর ভিডিও থাকার কারণে আমাদের অনেকের অনেক সময় ইন্টারনেট স্পিড স্লো হয়। 

আবার যখন ইন্টারনেট সংযোগ সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি হয়ে যায় তখন ইন্টারনেট স্পিড হয়ে যেতে পারে। যদি রাউটার ভালো মানের না হয় তাহলে যত বেশি এমবিপিএস এর সংযোগ হোক না কেন ইন্টারনেট স্পিড স্লো হবেই। আবার এমন অনেকে আছেন যারা কতটুকু স্পিড কারেকশন নিতে হবে তার সম্বন্ধে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না যার কারণে ইন্টারনেট স্পিড স্লো হয় এবং কাজে ব্যঘাত ঘটে।

ফোন রিস্টার্ট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট স্পিড বেশি করার নিয়ম

ইন্টারনেট স্পিড বেশি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মোবাইল ফোন রিস্টার্ট করা। অনেক সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে মোবাইল স্লো হয়ে যায়। যার কারণে মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড কম হয়ে যায়। কখনো কখনো মোবাইল রিস্টার্ট করলে অনেক ছোটখাটো সমস্যার সমাধানও হয়ে যায়।

মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করার নিয়ম

মোবাইল কোনটি রিস্টার্ট করা হলে এটি নতুন করে নেটওয়ার্ক সার্চ করে এবং সংযুক্ত হয়। করলে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি পায়। আবার ডাটা অফ করে পুনরায় অন করলে নেটওয়ার্কের গতির সাথে ইন্টারনেটের ভর্তি আগে থেকে বেড়ে যায়। অর্থাৎ ফোন রিস্টার্ট এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ফোনের ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে নিতে পারেন।

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধির জন্য অটো ডাউনলোডিং সিস্টেম বন্ধ করুন

আপনার মোবাইলে যদি অটো ডাউনলোডিং সিস্টেম চালু করা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার ফোনের ইন্টারনেটের স্পিড কমে যেতে পারে। তাই  আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধির জন্য ফটো ডাউনলোডিং সিস্টেমটি বন্ধ করে রাখবেন। কেননা এটি আপনার মোবাইলের ইন্টারনেটে স্পিড  গতিশীল করার পাশাপাশি আপনার প্রিপেইড প্যাকেজ ইন্টারনেট খরচও অনেকটা কমিয়ে আনবে।

আরো পড়ুনঃ Paidverts এড দেখে টাকা ইনকাম করুন সহজে

অনেক সময় আমাদের ডেটা প্যাক থেকে দ্রুত অনেক ইন্টারনেট শেষ হয়ে। যার মূল কারণ হলো অটো ডাউনলোডিং সিস্টেম অন করে রাখা। কিন্তু আপনি যদি মোবাইলে অটো ডাউনলোডিং সিস্টেম বন্ধ করে রাখেন তাহলে আপনার ইন্টারনেট কম ফুরাবে এবং ইন্টারনেট স্পিড অনেক বৃদ্ধি পাবে।

মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিং রিসেট করুন

ইন্টারনেট স্পিড কম হলে আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক সেটিং পরীক্ষা করুন। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ফোনে নেটওয়ার্কে রিসিভ করে নিতে পারেন। ফোনে নেটওয়ার্ক সেটিং করতে অনেক সহায়তা করবে। আপনার ফোনটি 4g হওয়া সত্ত্বেও  ইন্টারনেট স্পিড 3g  হয়ে থাকলে আপনাকে মোবাইল নেটওয়ার্ক সেটিং এ গিয়ে নেটওয়ার্ক সেটিং এ থাকা অটোমেটিক সেটিং আর অটো সিলেক্ট অপরটি বন্ধ করে ম্যানুয়ালি অপারেটর বেছে নিতে হবে.

এরপর প্রেফার্ড টাইপ অফ নেটওয়ার্ক ট্যাপ করে 4g অথবা লাইট অপশনটি বেছে নিতে হবে। যার ফলে আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিডটা বেড়ে যাবে। এছাড়াও Access পয়েন্ট নেটওয়ার্কও চেক করে নিতে পারেন মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধির জন্য।

মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড বাড়াতে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ বন্ধ করুন

আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ফোনে কোন কোন অ্যাপগুলি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে। কেননা ফেসবুক, টুইটা্‌ ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলি সর্বাধিক ডেটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট স্পিড অনেকটা কমিয়ে দেয়। আর এসব অ্যাপস গুলি প্রত্যেকদিন প্রতিটা মুহূর্তে আপনার মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে সক্রিয় থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।

একসঙ্গে একাধিক অ্যাপস ওপেন করে ব্যবহার করলে আপনার ইন্টারনেট স্পিড অবশ্যই কমে আসবে। তাই যে অ্যাপস গুলি আপনি ব্যবহার করছেন না সেগুলোকে অবশ্যই বন্ধ করে রাখবেন। সেজন্য আপনার মোবাইলের সেটিং ওপেন করে জেনারেল সিলেক্ট করুন। এরপর ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ অপশন রিফ্রেস অপশনটি বেছে নিন। এখানে প্রত্যেক অ্যাপের পাশে সুইচ পাবেন।

এই সুইচ বন্ধ রাখা মানে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস রিফ্রেশও বন্ধ থাকবে। চাইলে একসঙ্গে সব অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশও বন্ধ করতে পারবেন। শুধুমাত্র ওয়াইফাই নাকি ওয়াইফাই ও সেলুলার মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা রিফ্রেশ হবে তা সিলেক্ট করতে পারবেন।

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে নিয়মিত ক্যাশড ডেটা ক্লিয়ার করুন

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বেশি করার নিয়ম হিসেবে প্রথমে এসে ক্যাশড ডেটা ক্লিন রাখা।মোবাইলের ক্যাশ ডেটা শুধুমাত্র মোবাইলে জায়গা নষ্ট করেনা বরং আপনার মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস কেউ স্লো করে দেয়। আর এই ক্যাশ ডেটা পরিষ্কার বা ক্লিন এর মাধ্যমে মোবাইলের ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধিতে সাময়িক সমাধান পাওয়া যায়।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় মোবাইলে আমরা কোন না কোন ব্রাউজারের মাধ্যমে কোন কিছুর সন্ধান করে থাকে। এ সময়ে সেই ওয়েব পেজের ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য বলি মোবাইলের ক্যাশ মেমোরিতে জমা হয়ে থাকে। এই মেমোরিতে তথ্য জম হওয়ার কারণে নেট স্পিড সমস্যা সব থেকে বেশি হয়ে থাকে। নিয়মিত আপনার মোবাইলে ক্যাশ মেমোরি পরিষ্কারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে নিতে পারেু

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধিতে ডাটা সেভিং মুড অন রাখুন

মোবাইলে আপনি যে ব্রাউজার ব্যবহার করেন সেটি ডাটা সেবার মোড অন করে রাখুন। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট গুলো দ্রুত লোড হবে এবং ভালো স্পিড পাবে। তবে এতে আপনার ব্রাউজিং কোয়ালিটির অবনতি হতে পারে। কেননা স্মার্টফোনে থাকা ডাটা সেভিং মুডতি অন করার ফলে আপনি আপনার মোবাইলের ডাটা প্যাক সেভ করার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের গতি দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারবেন।

কারণ ডাটা সেভিং মোড অন করার ফলে আপনার মোবাইলে থাকা অ্যাপ গুলো ব্যাকগ্রাউন্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পায় না। এর ফলে যখনই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন সম্পূর্ণ স্পিডের সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধিতে ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন

আমরা আমাদের প্রত্যেকদিনের কাজগুলো যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে পরিচালনা করে থাকি ঠিক তেমনি আমরা আমাদের স্মার্ট ফোনে থাকা অ্যাপ গুলোর জন্য ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করতে পারি। স্মার্টফোনের সঙ্গে এমন কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে যেগুলো দিয়ে ইন্টারনেট ডেটা ম্যানেজ করা যায়।

মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করার নিয়ম

কোন অ্যাপ কি পরিমাণে ইন্টারনেট ডাটা খরচ করে তা এসব অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়। এবং আপনি চাইলে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপসের ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার সীমাবদ্ধ করে দিতে পারেন। আবার কিছু অ্যাপসের ডেটা বন্ধ করে দিতে পারেন। অনেক স্মার্টফোনের ডিফল্টভাবেও এসব সেটিং দেওয়া থাকে যার কারণে আলাদাভাবে অন্য কোন ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয় না।

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধির জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস রিমুভ করুন

আমাদের মোবাইলে এমন কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেয়। তাই কাজে লাগে না এমন অ্যাপস গুলি আনইন্সটল করুন। এই জন্য সেটিং এ গিয়ে অ্যাপ ম্যানেজার থেকে ডিফল্ট অ্যাপ ডিলিট করতে পার। কেননা এন্ড্রয়েড ফোনের স্পিড বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে অপ্রয়োজনীতয় অ্যাপ আনইন্সটল করে দেওয়া।

ফোনে প্রচুর স্টোরেজ থাকার কারণে আমরা ইদানিং অতিরিক্ত অ্যাপ দিয়ে ফোন ভরে ফেলি। এই অ্যাপসগুলো হয়তো ফোনের স্টোরেজে কোন প্রভাব ফেলে না, তবে ফোনের ram এ জায়গা দখল করে থাকে অনেক অ্যাপসই। আর এই কারণে ফোনে আর বেশি থাকলে ফোন স্লো হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে আপনার অ্যান্ড ফোনটাতে যথাসম্ভব কম এবং শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ গুলো রাখতে।

র‍্যাম এবং ইন্টারনাল স্টোর যথাসম্ভব খালি রাখা

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হচ্ছে ram ও ইন্টারনাল স্টোর যত সম্ভব খালি রাখা। আপনার স্মার্টফোনের র‍্যাম ও অভ্যন্তরের মেমোরির পরিমাণ যাই হোক না কেন তা কখনো পূর্ণ করবেন না যথাসম্ভব খালি রাখার চেষ্টা করুন। যখন কোন স্মার্টফোনের র‍্যাম ও অভ্যন্তরীণ মেমোরি সম্পন্ন ব্যবহৃত হয় তখন ওই স্মার্টফোনে সকল ফাংশন ধীরগতির হয়ে যায়। এমনকি ফোনের ইন্টারনেট স্পিড স্লো হয়ে যায়।


তাই স্মার্টফোনের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর জন্য র‍্যাম ও অভ্যন্তরী মেমোরি যথাসম্ভব খালি রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট খুবই ভালোভাবে চালাতে পারবেন।

মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধিতে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করতে পারেন

অ্যাড ব্লকার আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করার নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম।ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় মোবাইলের স্ক্রিনে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন চিত্র বা ভিডিও আকারে দেখতে পান। এই বিজ্ঞাপন গুলো আপনার ফোনে ডাটা ব্যবহার করার পাশাপাশি নেট স্পিডের সমস্যা করে থাকে।

ফলে যে কোন ওয়েবসাইট লোড নিতে অনেক সময় লেগে যা। আপনি যদি এরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করে ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে নিতে পারেন। ফলে আপনার মোবাইলের ইমরানের স্পিড কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।

মোবাইলে ইন্টারনেটে স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য লাইট ভার্সন অ্যাপ ব্যবহার করুন

মোবাইলে লাইট ভার্সন অ্যাপ ব্যবহারের ফলে মোবাইল ডাটা স্পিড বৃদ্ধি  হবে যদিও স্লো ইন্টারনেটে সঙ্গে সুবিধাজনকভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারবেন। প্রায় প্রত্যেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ গুলোর লাইট ভার্সন অবশ্যই থাকে। এই লাইট ভার্সন অ্যাপ গুলো অনেক কম ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করে থাকে এবং স্লো ইন্টারনেটের সাথে অনেক ভালো ভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার সুবিধা দিয়ে থাকে।

এছাড়া আপনি অপেরা মিনির মত অনেক ফাস্ট ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন। এবং মেসেঞ্জার, ফেসবু্‌ক, হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট গুলোর লাইট ভার্সন ব্যবহার করে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে পারে।

উপরোক্ত দিকনির্দেশনা ছাড়াও আপনি আরো অনেক উপায়ে মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে পারেন। সেগুলো হলো ঃ
  •  ফোন সর্বদা আপডেট রাখার মাধ্যমে।
  •  মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে।
  • ফোনের সিস্টেম আপডেট করার মাধ্যমে।
  • এরোপ্লেন মোড অন অফ করার মাধ্যমে।
  • ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করে এমন কিছু অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড এর মাধ্যমে।
  • ফোনের অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করার মাধ্যমে।
  • উইজেটের অত্যাধিক ব্যবহার বন্ধ করুন।
  • অটো-সিনক বন্ধ করার মাধ্যমে।
  • লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার বন্ধ করুন।
  • সময় মত ফোন আপডেট করার মাধ্যমে মোবাইলে ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করুন।

শেষ কথা

শেষ কথা হিসেবে এ কথা বলা যায় যে মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড স্লো হলে তা বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোন একটা প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় যথাযথ ইন্টারনেট স্পিড না পাওয়া গেলে বা সময় মতো কোনো তথ্য বা মেসেজ ডেলিভারি করতে না পারলে সেটা আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। যার ফলে কাজ থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলার মত সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কিন্তু উপরোক্ত আমরা যেসব আলোচনা করেছি তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করা সম্ভব। উপরোক্ত দিকনির্দেশনা গুলো ফলো করলে খুব দ্রুত আপনি আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন অতি অল্প সময়ে মধ্যে।





                       

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টপ ট্রিক্সস্‌ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;

comment url