পাইলস কি ? পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির কার্যকারী নিয়মাবলী

পাইলস এক সাংঘাতিক রোগ। পাইলসের ফলে রোগীর ব্লিডিং হয় এমন কি ব্যথাও থাকতে পারে। এই রোগের ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে অনেকে বুঝতে পারেন না। আর আজ এই পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির কয়েকটি কার্যকরী উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

পাইলস কি ? পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির কার্যকারী নিয়মাবলী

পাইলস এমন একটি রোগ যেখানে মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে অথবা মলদ্বার নিম্নস্নায়ুতে ফুসকুড়ি হয়। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হতে পারে। বংশগত , কোষ্ঠকাঠিন্য, কম ফাইবার ডাইট, ভার উত্তোল, স্থলতা, খাদ্যে এলার্জি, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, গর্ভাবস্থা , এমনকি দীর্ঘায়িত বসা বা দাঁড়ানো ইত্যাদি কারণে পালইস হতে পারে। এই রোগের সাধারণ লক্ষণ হল মলদ্বারের চারপাশে রক্ত জমাট বাঁধে এবং মলত্যাগ করার সময় রক্তপাত ঘটে। চলুন পাইলস থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা যাকঃ-

পোষ্টের সূচিপত্র ঃ

পাইলস কি

আমাদের মলদ্বারের ভেতরে কিছু রক্তনালী রয়েছে। মল শক্ত হলে প্রথম এটা ফুলে যায় যার ফলে সেই নালী কেটে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে। আর এই সমস্যার নামই পাইলস বা অর্শ রোগ।পাইলস বা অর্শরোগ হলো এমন একটি রোগ যার ফলে রোগীর মলদ্বারের ভেতর থেকে রক্তনালির একটি পিন্ড ভুলে যাই এবং কখনো কখনো এটি বাইরে বের হয়ে আসে।

মলদ্বারে চারপাশে রক্ত জমাট বাঁধে এবং মলত্যাগ করার সময় রক্তপাত ঘটে। মল না থাকলেও মলদ্বারের আশেপাশে ব্যথা এবং জালা হতে পা। দীর্ঘ সময় ধরে পায়েছে চিকিৎসা না করা হলে এটি রক্তক্ষয় শিশু মৃত্যু এমনকি পায়ু ছিদ্র বা কোলোরেকটাল ক্যান্সার রোগে পরিণত হতে পারে। সেজন্য পাইলস হলে পাইলসের দ্রুত চিকিৎসা করাই শ্রেয়।

পাইলস কেন হয়

অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের মতে মলদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো শিরা থাকে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেই শিরা সাধারণত ফুলে যায়। তারপর ওই স্থান শক্ত হয়ে ছিড়ে যায় ও রক্তপাত হয়। মূলত রক্তপাতই এর অসুখের প্রধান ও অন্যতম কারণ। সাধারণত মল ত্যাগের সময়ে রক্তপাত হয়ে থাকে এবং ব্যথা হয় অনেক। সাধারণত যেসব উপায়ে পাইলস হয়ে থাকে ঃ
  • মলত্যাগের সময় চাপ দেয়া
  • দীর্ঘ সময় ধরে মলত্যাগ করা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য 
  • ডায়রিয়া
  • অনিয়মিত মলত্যাগ
  • পায়খানার বেগ আটকে রাখা
  • শারীরিক পরিশ্রম না করা
  • শরীরের ওজন বেশি হলে
  • থেকে কম ফাইবারযুক্ত খাওয়ার খাবার অভ্যাস থাকলে
ইত্যাদি এসব কারণ গুলোর জন্য জন্য সাধারণত পাইলস হয়ে থাকে।

পাইলস কত ধরনের হয়

পাইলস সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। 
  •  অভ্যন্তরীণ পাইলস
  •  বাহ্যিক পাইলস 
অভ্যন্তরীণ পাইলস ঃ ভেতরের পাইলস হল মলদ্বারের ভেতরে রক্তনালি ফুলে যাওয়া। রক্তনালী থেকে রক্তপিণ্ড কতখানি বের হয়ে আসে তার ওপর ভিত্তি করে এই পাইলস কে ১ম ২য় ৩য় ও ৪র্থ ডিগ্রিতে ভাগ করা হয়।

বাহ্যিক পাইলস ঃ বাহিরের পাইলস সাধারণত মলদ্বারের বাইরের চামড়া দ্বারা আবৃত থাকে। আর এর মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধলে তা ফুলে ওঠে।

মূলত পাইলসের ধরনের উপর ভিত্তি করে পাইলসের চিকিৎসা করা হয়। আবার কখনো কখনো দুই ধরনের পাইলস একসাথে হতে পারে।

পাইলসের প্রাথমিক লক্ষণ

সাধারণত পাইলসে দুই ধরনের লক্ষণ লক্ষ্য করা যায় যা একটি হলো অভ্যন্তরীণ এবং অন্যটি হল বাহ্যিক। পাইলসের  স্থান এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে পাইলসের লক্ষণ না উপসর্গ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

অভ্যন্তরীণ পাইলসের লক্ষণঃ অভ্যন্তরীণ পাইলস হলে যেসব লক্ষণ দেখা যায় সেগুলো হল গ্রেড ১ গ্রেড ২ গ্রেড ৩ এবং গ্রেড ৪ এর মাধ্যমে।
  • গ্রেড ১ ঃ পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে না বা প্রলেপস হয় না।
  • গ্রেড ২ ঃ গ্রেড ২ এ সাধারণত মলত্যাগের সময় পাইল ফুলে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে এবং তা আপনা আপনি ঠিক হয়ে যায়।
  • গ্রেড ৩ ঃ এ সময় সাধারণত পাইলস ফুলে বাইরে দিকে বের হয়ে আসে এবং নিজে নিজে ঠিক করতে হয়।
  • গ্রেড ৪ ঃ এ পর্যায়ে পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে এবং তা আর নিজে নিজে ঠিক করা যায় না বা ঠিক হয় না।

পাইলস কি ? পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির কার্যকারী নিয়মাবলী

অভ্যন্তরীণ পাইলসের লক্ষণ বা উপসর্গ বেশি হলে সাথে সাথে অপারেশন করে নেওয়াটাই শ্রেয়।

বাহ্যিক পাইলসের লক্ষণঃ  মূলত মলদ্বারের বাইরে প্রান্তে ছোট ছোট গলদ গঠন করে।এগুলো চুলকানিদায়ক এবং বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। 
  • পায়খানার রাস্তায় চুলকানি হওয়া
  • মলত্যাগের সময় ব্যাথা অনুভব করা
  • অনিয়মিত মলত্যাগ
  • বার্ধক্য জনিত কারণে ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া

পাইলসের ফলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে

পাইলস এই অসুখে ভুগতে থাকলে কষ্টের শেষ থাকে না। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তি টয়লেটে যেতে ভয় পান। পাইলসের ফলে আমাদের শরীরে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তা হলো ঃ-
  • মলদার দিয়ে রক্ত যাওয়া
  • মলত্যাগের সময় মলদ্বার নিচের দিকে নেমে যাওয়া যা নিজে নিজে ভিতরে চলে যেতে পারে আবার অনেক সময় হাত দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয়
  • মলদ্বারে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে 
  • ব্যথা অনুভব করা
  • মলদার ফুলে যাওয়া
  • অতিরিক্ত ফোলা বা বের হয়ে আসার জন্য মলদয় পরিষ্কার রাখতে সমস্যা হওয়া।

এত সময় পাইলস কি, পাইলস কেন হয় , এবং পাইলসের লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম।এখন চলুন জেনে নেই পাইলস  থেকে চিরতরে মুক্তির কয়েকটি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ঃ

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির জন্য ফাইবার জাতীয় খাবার এর উপকারিতা

রোগীদের অবশ্যই ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন নিয়মিত মলত্যাগ ও মল নরম করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যার ফলে নরম হয় ফলে সহজে মলত্যাগ করা সম্ভব।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে নিয়মিত পানি পান করুন

অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। আর এই পর্যাপ্ত পানি পান না করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দিতে পারে। পাইলস  চিকিৎসায় অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার। প্রচুর পানি পান করার ফলে মল নরম হয় এবং মলত্যাগের সময় কোন সমস্যা হয় না।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে এলোভেরার কার্যকারিতা

পাইলস রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যালোভেরা হলো প্রকৃতির সেরা উপাদান। অ্যালোভেরা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা এবং থেরাপিটিক বৈশিষ্ট্য পাইলস বা অর্শরোগের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা  অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় রোগের জন্য কার্যকরী। অভ্যন্তরীণ পাইলস চিকিৎসার জন্য এলোভেরার পাতা কেটে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে এবং ব্যথা পোড়া এবং চুলকানির জ্বালা কমাতে প্রভাবিত জায়গায় এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে।


বাহ্যিক পাইলস রোগের জন্য অ্যালোভেরার জেল আপনার মলদার এর ওপর একটু একটু করে প্রয়োগ করতে হবে এবং মেসেজ করতে হবে। যার ফলে আপনার মল নরম হবে এবং মলত্যাগের সময় ব্যাথা অনুভব হবে না ।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে বরফ বা ঠাণ্ডা সংকোচনের কার্যকারিতা

পাইলস এর চিকিৎসায় বড় কোন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। কেননা বরফ রক্তনালীকে কে সুস্থ করে ফোলা কমায় এবং দ্রুত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। একটি পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে কিছু বরফ নিয়ে সরাসরি প্রভাবিত জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে। পাইলস ভালো না হওয়া পর্যন্ত দিনে বেশ কয়েকবার এই প্রক্রিয়াটি প্রয়োগ করতে হবে।

পাইলস প্রতিরোধ করুন নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে

পাইলস প্রতিরোধে ব্যায়াম বেশ কার্যকর। তাই রোজ শরীরচর্চা করা জরুরী। দিনে নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার ফলে পেট সহজে ক্লিয়ার হয় ,পেশী ঠিকমতো কাজ করে। তাই নিয়মিত পাইলস রোগীদের পেটের ব্যায়াম করা উচিত। কেননা এটি সরাসরি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং এর মাধ্যমে দ্রুত। আর এই জন্য পাইলস প্রতিরোধে প্রতিদিন নিয়মমাফিক ব্যায়াম করা উচিত।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে ইসুবগুলের ভুষির কার্যকারিতা

প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ইসুবগুলের ভুষি পানিতে মিশে পান করলে পায়খানা স্বাভাবিক থাকে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পায়েস থেকে মুক্ত  থাকা যায়। নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার ফলে পেট ক্লিয়ার হয় এবং মল নরম হয় যার ফলে মলত্যাগের সময় ব্যাথা অনুভব হয় না।

পাইলস প্রতিরোধে ধূমপান ও মধ্যপান এড়িয়ে চলুন

ধূমপান ও মদ্যপান পাইলস  সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই পাইলস প্রতিরোধে ধূমপানও মধ্যপানে এড়িয়ে চলাটাই শ্রেয়।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে আপেল সিডার ভিনেগারের কার্যকারিতা 

মল কসার কারণে আপেল সিডার ভিনেগার  রক্তনালী সংকুচিত করে। অভ্যন্তরীণ এবং বাহির উভয় পাইলস রোগের জ্বালা এবং ব্যাথা থেকে আরাম প্রদান করে। বহিরাগত পাইলস রোগের  প্রভাবিত জায়গাটি আপেল সিডার ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন এবং একটি তুলোর বল চাপ দিতে হবে। প্রথমে এটি জ্বালাপোড়া করলেও কিছু সময় পর আপনি অবশ্যই চুুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবেন।

পাইলস কি ? পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির কার্যকারী নিয়মাবলী

অভ্যন্তরীণ পাইলসের জন্য এক গ্লাস পানির মধ্যে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দুইবার করে খেতে হবে। পাইলস ভালো না হওয়া পর্যন্ত  এটি ব্যবহার করাই শ্রেয়।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে লেবুর রসের কার্যকারিতা

লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে এন্ট্রি অক্সিডেন্ট থাকে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টি পাইলসের চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। এটি সরাসরি প্রভাবিত জায়গায় প্রয়োগ করলে মল নরম হয়। অথবা মধু কিংবা আদার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পাইলস প্রতিরোধে জলপাই তেলের কার্যকারিতা

জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট সহ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে। আর এই জলপাই এর তেল মূলত বহিরাগত পাইলস প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তনালীর  স্থিতি স্থাপকতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার। ফলে ব্যথা অনেকটা রোধ হয় এবং পায়ুছিদ্রের মধ্যে রক্তনালির আকার কমাতে সাহায্য করে।

পাইলস প্রতিরোধে মাংস এড়িয়ে চলুন

পাইলস প্রতিরোধে মাংস এড়িয়ে চলুন। কেননা এর থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ বাড়তে পারে আবার তার থেকে পাইলস ও হতে পারে। তাই মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যতটা সম্ভব কম পরিমাণে খান তবেই ভালো থাকতে পারবেন। এছাড়া প্রোটিন হিসেবে ডিম খেতে পারেন এমনকি মাছ খাওয়া যায় না এসে। শুধুমাত্র মাংস এড়িয়ে চলতে হবে এবং এর থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে পাইলস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পাইলস প্রতিরোধে টয়লেটে কম সময় ব্যবহার করুন

টয়লেটে গিয়ে প্রচুর সময় ব্যয় করা উচিত নয়। কেননা এতে পাইলস হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই যতটুকু পায়খানা হয়ে গেলে আপনার স্বস্তি মিলবে ততটুকু করে বের হয়ে আসা উচিত।

পাইলস প্রতিরোধে বাবলা গাছের ছালের কার্যকারি 

পাইলস প্রতিরোধে বাবলা গাছের ছালের কার্যকরিতা অনেক। কেননা বাবলা গাছের ছালে রয়েছে এনালজিসিক এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ যা পাইলস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাবলা গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা প্রভাবিত জায়গায় দিয়ে রাখলে পাইলসের ব্যথা ও চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

পাইলস প্রতিরোধে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত

পাইলস প্রতিরোধে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • লাল শাক
  • দুগ্ধজাত খাবার
  • তেলে ভাজা খাবার
  • মশলাদার খাবার
  • চা ও কফি
  • অ্যালকোহল
  • তামাক জাতীয় দ্রব্য
  • কোমল পানীয়
  • বাদাম
  • ফাস্টফুড
  • বেশি চর্বিযুক্ত খাবার
পাইলস রুগীরা যতটা সম্ভব পারবেন এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

শেষকথা

শেষ কথা হিসেবে এই কথা বলা যায় যে পাইলস বা অর্শ রোগ হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে এতে মলদ্বারের ভিতর থেকে রক্তপাত হয়। জ্বালাপোড়া চুলকানি সহ ফলার মত উপসর্গ দেখা দেয়। উপরোক্ত আলোচনায় দেখিয়েছি কেন হয় এবং এর লক্ষণ সহ পাইলস প্রতিরোধের বেশ কয়েকটি  কার্যকরী উপায়।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি আরও এমন অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে পাইলস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ত্রিফলা যা গরম জলের সঙ্গে মিশে খেতে হয়। এছাড়াও রয়েছে দুধ ও মিছরির কার্যকরী উপকারিতা। সকালে দুধ ও মিছরি মিশিয়ে খেলে রোগ থেকে উপকার মেলে। এছাড়াও দুধ ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

পাইলস হলেই যে সবসময়ই অস্ত্রপ্রচার করতে হয় বিষয়টি এমন না বরং ঘরোয়া উপায়ে  কিছু নিয়ম কানুন ফলো করলে এবং সময়মাফিক চিকিৎসা নিলে পাইলস ভালো করা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টপ ট্রিক্সস্‌ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;

comment url