ফ্রিল্যান্সিং করে করে মাসের লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। ইন্টারনেট ব্যবহারের
মাধ্যমে অনলাইনে কোন কাজ করে তার বিনিময়ে অর্থ দাবী করাকেই বলে
ফ্রিল্যান্সিং। আর এই কাজগুলো যে করে দেয় তাকে বলে ফ্রিল্যান্সার
। ফ্রিল্যান্সিংকে অনেকে মুক্ত পেশা বলে অবহিত করে থাকে। কেননা এই পেশাতে
আপনি যখন খুশি কাজ করতে পারেন এবং নিজের ইচ্ছামত কাজ সিলেট করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর এই যুগে আপনার স্কিল না থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে
টিকতেও পারবেন না। কেননা বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং বাজার এখন প্রতিযোগিতামূলক একটি
যুদ্ধক্ষেত্র। মার্কেটে বর্তমানে কাজ পাও তো দূরের কথা টিকে
থাকাতাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যদি আপনি কিছু স্কিল এবং
বুদ্ধিমত্তার সাথে আপনার কাজ করে যান তাহলে আপনি অবশ্যই লক্ষ টাকায় করতে পারবেন।
নিজের সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছেঃ
পোস্টের সূচিপত্র ঃ
ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন
ধরুন আপনাকে একটি রাস্তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হলো যার বাম পাশ দিয়ে
গেলে টাকা ভর্তি সমুদ্রের মধ্যে যাওয়া যায় আর ডান পাশ দিয়ে টাকা
ভর্তি পুকুরের মধ্যে যাওয়া যায়। তাহলে আপনি কোন রাস্তায় যেতে
চাইবেন ? আপনি যদি বোকা না হন তাহলে আপনি অবশ্যই টাকা ভর্তি সমুদ্রের
রাস্তায় যেতে চাইবেন।
কিন্তু বাস্তবে আপনি হাঁটছেন টাকা ভর্তি পুকুরের দিকে। শুধু আপনি না
আমাদের দেশে শতকরা 95% মানুষ বর্তমানে সেই টাকা ভর্তি পুকুরের
দিকে হাঁটছে। আর এই সামান্য একটা পুকুর থেকেই টাকা তোলার জন্য
কাড়াকাড়ি করছে। অথচ পাশের রাস্তায় টাকার পরিমান অনেক বেশি হলেও
টাকা তোলার মানুষের সংখ্যা অনেক কম।
আমরা অনেকেই চাই পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করতে আর যাদের বাবার যথেষ্ট টাকা
আছে তারা চায় ব্যবসা করতে। কিন্তু কি লাভ এই সামান্য
টাকা ইনকামের জন্য জীবনের অর্ধেকটা সময় চাকরি এবং ব্যবসা দাঁড় করানোর
পিছনে ব্যয় করা। বিষয়টা আজকাল এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে আমরা
সবাই লাইন দিয়ে একটা চাকরির পিছনে ছুটছি।
অথচ পৃথিবীতে এখন অনেক উপায়ে ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা
সম্ভব। আর সেই উপায় গুলো প্রতিদিন আমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা
করে এবং আমরা প্রতিদিন সেগুলো ব্যবহার করি কিন্তু তারপরে
আমরা বুঝতে পারি না এগুলোকে কিভাবে কাজে লাগিয়ে মাসে লক্ষ্যধিক টাকা
আয় করা সম্ভব। আমি কি বলতে চাইছি হয়তো অনেকে বুঝতে পারছেন না তাই
চলুন কিভাবে সহজ ১৫ টি উপায়ে মাসে লক্ষ্য টাকা আয় করা যায় তা
বিস্তারিত আলোচনা করি ঃ-
ব্লগিং করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
ব্লগিং করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা যায়। ব্লগ হল মূলত এক ধরনের
ব্যাক্তি কেন্দ্রিক পত্রিকা। আর এই ব্লগ ওয়েবসাইটে যিনি পোস্ট করেন
তাকে ব্লগার বলা হয়। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটির
মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগাররা তাদের ওয়েবসাইটে তাদের
দৈনিন্দ্য জীবনসহ বিভিন্ন ধরনের বিষয় তুলে ধরে থাকেন। আর ব্যবহারকারীরা সেখানে
বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে থাকেন।
আরও পড়ুন:কিভাবে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়
ব্লগ করার জন্য আপনার দরকার সৃজনশীলতা , বই পড়া সহ বিভিন্ন বিষয়
নিয়ে পড়াশোনা করার মন মানসিকতা এবং লেখালেখিতে যথেষ্ট আগ্রহ
থাকা।আপনার যদি ব্লগার ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে Name
Cheap এর মাধ্যমে ডোমেইন কিনে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।ওয়েব
সাইটে আপনি যে কনটেন্ট গুলো লিখবেন সেগুলো বিভিন্ন উপায়ে
মনিটাইজেশনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে
টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও সরাসরি বা ডিজিটাল প্লাটফর্মে
প্রোডাক্টের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সহ সাবস্ক্রিপশন এবং কোচিং এর মাধ্যমে
প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করা যায়।
আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে লক্ষ্য টাকা আয় করুন
ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। আপনার
যদি ওয়েবসাইট নাও থাকে আর আপনি যদি লেখালেখিতে দক্ষ হোন তাহলে আপনি খুব
সহজে আর্টিকেল রাইটিং এর জব পেয়ে যাবেন। আপনি খুব সহজেই আপনার
আর্টিকেল বিক্রি করতে পারবেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি আপনার
আর্টিকেল বিক্রি করে মাসি লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি আপনার ওয়েব সাইটে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। আর্টিকেলের মধ্যে লোকাল অ্যাড দেখানোর পাশাপাশি আপনি আর্টিকেল
লেখা সাইট বিক্রি করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে মাসে লক্ষ্য টাকা আয় করুন
ওয়েব প্রোগ্রামিং এর প্রথম ধাপই হলো ওয়েব ডিজাইন। আর এই ওয়েব ডিজাইন এর
মাধ্যমে আপনি মাসের লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন এর জন্য
আপনাকে প্রথমে জানতে হবে এইচটিএমএল এবং সিএসএস । কেননা ওয়েবসাইটের মূল
কাঠামো তৈরি হয় এইচটিএমএল এর মাধ্যমে। অন্যদিকে সিএসএস হলো ওয়েবসাইটের বিভিন্ন
কাঠামো আকার আকৃতি অবস্থান নির্ধারণ করার পদ্ধতি।
এই মুহূর্তে যারা কি করা উচিত বা কি করবো এমন সমস্যার মধ্যে আছেন তারা
চাইলে ওয়েব ডিজাইন শেখার মাধ্যমে ঘরে বসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা করতে পারবেন।
বর্তমানে মার্কেটে এর চাহিদার তুলনায় ডিজাইনের সংখ্যা তুলনামূলক
কম। যার ফলে গ্রাহকরা নতুন এবং দক্ষ ডিজাইনার খুজে পেতে মরিয়া হয়ে
উঠেছে । সেক্ষেত্রে বলা যায় ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চাইলে
এবং ঘরে বসে লক্ষা টাকা ইনকাম করতে চাইলে ওয়েব ডিজাইন এই সেক্টর
টি বেছে নিতে পারে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যতীত পুরো মার্কেটিং
ডিপার্টমেন্টে অচল বললেই চলে। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বা ওয়েবসাইট
ডিজাইনের জন্য যা যা দরকার তার সবকিছুই তৈরি করে দেয় গ্রাফিক্স ডিজাইনারা ।
ব্যানার ,পোস্টার, বিলবোর্ড ,সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো ,টেলিভিশন কমার্শিয়াল শো
সবকিছু গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে পড়ে।
ক্যারিয়ার হিসেবে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম। গ্রাফিক্স
ডিজাইনে বিভিন্ন সফটওয়্যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ব্যানার ,পোস্টার,
বিলবোর্ডসহ ,বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার কভার ডিজাইন এর মাধ্যমে বায়ারের কাছে
উপস্থাপন করা হয়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বাইরের দেশের বায়ার ধরে কাজ করে
দেওয়ার মাধ্যমে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং টাকা ইনকামের অন্যতম প্রধান একটি সেক্টর। ভিডিও
এডিটিং এর ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। ভবিষ্যতের বিভিন্ন কাজের জন্য ভিডিও মার্কেটিং
অনেক গুরুত্ব পাবে। কেননা অনেক বড় বড় কোম্পানি এখন থেকেই ভিডিও এডিটিং এর
মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং করছে।এবং ভবিষ্যতে এর কদর অনেক বাড়বে।
বর্তমানে বাংলাদেশে দক্ষ ভিডিও এডিটরের সংখ্যা অনেক কম ।এবং বিশ্বে ভিডিও
এডিটরের চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমানে ইউটিউবে দিন দিন ভিজিটরের সংখ্যা
বাড়ছে তাতে অন্য কোন কিছু না করেও ভিডিও বানিয়ে মাসে দুই থেকে তিন লক্ষ
টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আবার ফেসবুক থেকে বর্তমানে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা
যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ার ধরে তাদের ভিডিও
এডিটিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ফেসবুকের একটি অংশ। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহারের মাধ্যমে
আপনি খুব সহজে ঘরে বসে যেকোনো পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন। আপনাদের যদি কোন
ক্ষুদ্র শিল্পের মতো উৎপাদনশীল পণ্য থাকে তবে তা ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে
অনার্সে বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়া ফেসবুক মার্কেট প্লেসে আপনি চাইলে পুরনো আসবাবপত্র সহজে কোন জিনিস বিক্রি
করতে পারবেন । এর অন্যতম সুবিধা হল এখানে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আপনাকে অন্য কোন
একাউন্ট করতে হয় না। এছাড়া আপনি বাইরে দেশ থেকে পণ্য কিনে এনে ফেসবুক
মার্কেটপ্লেস এ বিক্রির মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউবের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
ইউটিউব বর্তমান সময়ে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা কাজে লাগিয়ে আপনি মাসে ১০০০০
হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আপনি তো জানেন না কিভাবে
ইউটিউবে কাজ করে কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও বানাতে হয় অথবা কি নিয়ে ভিডিও বানাবো তা
নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতে হয়।চলুন আমি সহজ করে দেই,সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে
কিছু না কিছু স্পেশাল ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে ।
যেমন আপনি কোন একটা বিষয়ে ভালো পারেন অন্য কেউ হয়তো সে বিষয়ে ততটা জ্ঞান
রাখে না। যেমন আপনি গান গাইতে পারেন অন্য কেউ তা পারে না। আপনি সাইকেলিং করতে
ভালোবাসেন হয়তো অন্য কারো সাইকেলিং পছন্দ না। হতে পারে আপনি বই পড়তে ভালবাসেন
অথবা মাছ ধরা আপনার শখ। আর এই শখ থেকেই আপনি মাসে লক্ষ্য টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এখন মানুষ ভ্রমণ করে তা রেকর্ড করে ইউটিউবে পোস্টের মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম
করছে। অর্থাৎ আপনি যা পারেন তা রেকর্ড করে ইউটিউবে পোস্টের মাধ্যমে মাসে টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রামে রিলস ভিডিও বানিয়ে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
instagram বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় এবং বহু ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
instagram এ বর্তমানে রিলস গুলো জনপ্রিয়তা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি
যদি ইনস্টাগ্রাম ইউজার হোন এবং আপনার যদি কয়েক হাজার থাকে তাহলে আপনিও instagram
এ রিলস তৈরির মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। instagram এ রিলসের
মাধ্যমে টাকা আয়ের জন্য যা প্রয়োজন তা হচ্ছে একটি instagram ক্রিয়েটর একাউন্ট
। এবং সাথে আপনাকে আপনার নিস দেখতে হবে।
এসইও এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি হাতিয়ার।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে এসইও হলো আমরা যখন কোন দরকারি তথ্য খুঁজতে যাই তখন গুগল যে
সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট দেখায় সেটাই। সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে ক্লিক
করে কাঙ্খিত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করি। সাধারণত কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে
রেংক করানোর জন্য এসইও করা হয়ে থাকে। এসইও করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম
পেজে অবস্থান করা সম্ভব হয়।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার ঘুরতে চান তাহলে আপনার জন্য
অবশ্যই এসইও শিখা ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিতে পারবেন না। কেননা একজন
ক্লাইন্ট সবসময় চাইবে তার ওয়েবসাইটটি রেংক করুন আর তার ওয়েবসাইটে অনেক ট্রাফিক
আসুক। কারণ ট্রাফিক যত বেশি হবে পরিচিতি তত প্রসার হবে আর এর পরিচিত প্রসারের
মাধ্যমে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। এসইও দুই ভাবে করা যায় অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ
এসইও । সুতরাং এসইও শিখে আপনি খুব সহজে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে রতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে মূলত কোন প্রোডাক্ট যদি আপনি আপনার পরিচিতদের কাছে
প্রমোট করেন আর তারা আপনার কথা শুনে যদি সে প্রোডাক্টি ক্রয় করে তাহলে আপনি সেই
প্রোডাক্টের ক্রয় মূল্যের একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন একটি টেকনোলজি যার মাধ্যমে কাস্টমারের
সাথে কোন ধরনের সরাসরি বা মৌখিক যোগাযোগ ছাড়া শুধুমাত্র বিভিন্ন ডিজিটাল টুলস
ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার কমিশন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রমোট
প্রচলন করাকে কে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয় ।
বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করাটা অধিক লাভজনক। অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাড়াতাড়ি প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। আর এর জন্য একটি
ব্লগ, ইউটিউব অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। ফেসবুকেও
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় । সেজন্য দরকার একটু ফেসবুক পেজ এবং ফলোয়ার বেস
।
ব্যাকলিংক সেলের মাধ্যমে প্রতিমাসে লক্ষ টাকায় করুন
ব্যাকলিংকে ইনকামিং লিংক বা ওয়ান ওয়ে লিংক ও বলা হয়ে থাকে । ব্যাক লিংক মানে
বুঝতেই পারছেন কোন একটা ওয়েবসাইট অন্য আরেকটা ওয়েবসাইটের পেইজে লিংক করা। একটি
পেজ বা ওয়েবসাইট গুগলের র্যাঙ্ক করার জন্য ব্যাকলিংকের ভূমিকা
অনেক।ব্যাকলিংকে মূলত অফ পেজ এসইও বলা হয়ে থাকে।
একটি ব্যাকলিংক তৈরি সবচেয়ে সহজ উপায় আপনি আপনার নিজ সম্পর্কিত অন্য যেকোনো
ওয়েব সাইটে ব্লগ পোস্টে কমেন্ট করতে পারেন এবং কমেন্টে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক
করতে পারেন।কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনাকে এটি লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি ব্লগ পোস্টটি
পড়বেন এবং তারপর প্রশ্ন অনুসারে এমনভাবে মন্তব্য করুন যাতে মালিক এটি পছন্দ
করেন।
ব্যাকলিংক খুব সহজেই তৈরি করা যায়। একটি ব্যাক লিংক তৈরি করতে দুই থেকে তিন
সেকেন্ড লাগে । এবং সারাদিনে তিন থেকে চার হাজার বা তার অধিক ব্যাক লিংক তৈরি করা
সম্ভব। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ব্যাকলিংকের জন্য বায়ার ধরে কাজ
করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা খুব সহজ।
বাইয়িং কিওয়ার্ড র্যাঙ্ক করে প্রতি মাসে আয় করুন
বাইয়িং কিওয়ার্ড মূলত যেসব জিনিসপত্র বেশি বিক্রয় হয় সেগুলো গুগলে র্যাঙ্ক
করানো । বাইয়িং কিওয়ার্ড অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত । আপনি যত
প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন কোম্পানি আপনাকে তত কমিশন দিবে। অর্থাৎ এই বাইয়িং
কিওয়ার্ড র্যাঙ্ক করে প্রতিমাসে আয় করা সম্ভব।
AI জেনারেট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
AI (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট) জেনারেট এর মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করা
যায়। AI জেনারেটর এর মাধ্যমে খুব সহজে ভিডিও এডিটিং সহ যেকোনো কনটেন্ট লেখা
অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে AI জেনারেট সফটওয়্যার এ গিয়ে শুধুমাত্র
কমান্ডের প্রয়োজন হয় । বাকি কাজ সফটওয়্যার নিজেই করে দেয়। যার মাধ্যমে অতি
অল্প সময়ে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়।
কোডিং করে করে প্রতি মাসে আয় করুন
আপনি যদি কোডিং জেনে থাকেন তাহলে একজন দক্ষ কোডার হিসেবে অনলাইন থেকে টাকা আয়
করতে পারবেন। যাদের কোডিং এ দক্ষতা রয়েছে তারা পার্ট টাইম কিংবা ফুল টাইম কাজ
খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
ফটোগ্রাফির মাধ্যমে টাকা আয় করুন
আপনি যদি ফোন বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে এক্সপার্টুন তাহলে আপনি খুব সহজেই স্টক
ফটোগ্রাফি বিজনেসের মাধ্যমে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। কেননা ফটোগ্রাফির ব্যবসা
শুরু করার প্রক্রিয়া খুব সহজ। সেজন্য আপনাকে কিছু ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে
যেখানে আপনি খুব সহজে ছবি বি ভিডিও বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের সক্ষম হবেন।
শেষ কথা
এছাড়াও ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ্য টাকা ইনকামের আরো
অনেক পথ আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পথ হচ্ছে ওয়েবসাইট ক্লিপিং এর মাধ্যমে টাকা
ইনকাম করা যায়।ট্রান্সলেটর এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। অ্যাপ ডিজাইন এবং
ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় ।এছাড়াও আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে
যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজে করে বসে থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।
টপ ট্রিক্সস্ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। সব কমেন্টস রিভিউ করা হয়, ধন্যবাদ।;
comment url